Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৯/১১ হামলায় সহায়তাকারী সউদির নাম প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৫ পিএম

৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার ছিনতাইকারীদের সহায়তাকারী সউদি কর্মকর্তার নাম প্রকাশের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়। রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে টানাপোড়েনের সম্পর্ক এবং হামলার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের চাপের মধ্যে এই নাম প্রকাশ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।-খবর এএফপি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট

এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলে খবরে বলা হয়েছে। হামলায় সহায়তাকারী সউদির নাম প্রকাশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত মাসখানেক ধরে প্রচার চালিয়ে আসছিল আক্রান্তদের পরিবার।

ট্রাম্পকে লেখা সর্বশেষ এক চিঠিতে পরিবারগুলো জানায়, ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করলে পূর্ণ সত্য জানা ও সউদি আরবের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ হবে।

তবে হামলায় যুক্ত থাকার কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে সউদি আরব সরকার। সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে বিদেশি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা সহজ করতে মার্কিন কংগ্রেস ২০০৬ সালে একটি আইন পাস করে। এর পর নাম প্রকাশের দাবি আরও জোরালো হয়েছে।

হামলায় যুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৫ ব্যক্তিই সউদি নাগরিক। চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে সেগুলো নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউস কিংবা কংগ্রেসে হামলার ষড়যন্ত্র করেন তারা।

নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ও পেনসিলভানিয়ায় হামলায় প্রায় তিন হাজার লোক নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আক্রান্তদের পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ দাবিতে সউদি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

২০০২ সালে হামলা নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন বলছে, কিছু হামলাকারী সউদি আরবের কাছ থেকে তহবিল পেয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত দুজন সউদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা হবেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এই দুজন হলেন ফাহাদ আল-থুমাইরি ও ওমর আল-বায়ুমি। তারা দুজনই সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে সউদি দূতাবাসে সংযুক্ত ছিলেন।

কিন্তু এই দুই সউদি কর্মকর্তা ছিনতাইয়ে যুক্ত ছিলেন বলে যে দাবি করা হয়েছিল পরবর্তী তদন্তে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কিন্তু ২০০২ সালে অভিযোগের কথা পুনর্ব্যক্ত করে এফবিআইয়ের প্রতিবেদন সম্পাদনা করা হয়।

এতে তৃতীয় এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়, যিনি তাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় নামটি অন্ধকারে রাখা হয়েছে।

সউদি এক রাজপরিবারের নাম এই গুজবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। হামলার পর দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে আল-কায়েদাকে নিমূর্ল করতে সউদি আরব ও ওয়াশিংটন এক সঙ্গে কাজ করায় তার নাম গোপনীয় রাখা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ