Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্থগিতাদেশের ফয়সালা করেই কাউন্সিল

উচ্চ আদালতে যাচ্ছে ছাত্রদল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

আদালতের স্থগিতাদেশের ফয়সালা করেই জাতীয় কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনের একাধিক সাবেক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আজ (রোববার) আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে যাবেন। স্থগিতাদেশ উঠে গেলে খুব শিগগিরই কাউন্সিল হবে। প্রার্থী ও ভোটার তালিকা চ‚ড়ান্তভাবে প্রকাশ হয়ে গেছে। এখন শুধু ভোট গ্রহণই বাকি। সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। ফলে এটা সম্পন্ন করতে তেমন কোনো অসুবিধা হবে না বলে সাবেক নেতারা মনে করেন।

ঘোষণা অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। তবে আদালতের স্থগিতাদেশে তা বন্ধ হয়ে গেছে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় অফিসও এখন বন্ধ। তবে গতকাল সকাল থেকে পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের কয়েকশ’ কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এবং কাউন্সিল স্থগিতের প্রতিবাদে স্লোগান দিয়ে তাদের উপস্থিতি ও প্রতিবাদ জানায়।

বিএনপি কার্যালয়ের নিচে বৃত্তাকার হয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকরা ‘মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’ ইত্যাদি স্লোগানের পাশাপাশি ছাত্রদলের জাতীয় কাউন্সিল-২০১৯ শুভেচ্ছা, স্বাগতম। কাউন্সিল স্থগিত কেন/শেখ হাসিনা জবাব চাই ইত্যাদি স্লোগানও দেয়।

ছাত্রদলের সর্বশেষ ভেঙে দেয়া কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহর দায়ের করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার চতুর্থ জজ আদালত ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দেন।
গতকাল সকাল থেকে অফিসে কেউ আসেনি। সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু তার কার্যালয়ে আসেন বেলা সাড়ে ১১টায়।

স্থগিতাদেশের পর করণীয় ঠিক করতে গত শুক্রবার সাবেক ছাত্রনেতারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে যৌথ বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি যিনি জাতীয় কাউন্সিল-২০১৯ এর আপিল কমিটির প্রধান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা আদালত যাবো- এটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থগিতাদেশের বিষয়টি ফয়সালা হলে কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের কর্মী সোহরাব হোসেন বলেন, অনেক আশা নিয়ে আমরা ১৪ সেপ্টেম্বরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম- নির্বাচন হবে, আনন্দ করব। সব কিছুই ওলটপালট হয়ে গেল। সরকারের যোগসাজশেই আদালত এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এতে ছাত্রদলের কোনো ক্ষতি হয়নি, বরং সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের কর্মী রিজভী নেওয়াজ বলেন, কাউন্সিল কবে হবে তা নিয়ে আমরা অনিশ্চিত। যে মামলা করা হয়েছে তার ফয়সালা সহসা হচ্ছে না। তাহলে কী হবে? স্থগিতাদেশ ব্রেকেন্ট হলে কাউন্সিল অনুষ্ঠানে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। কিন্তু সেটা সহসা হবে কি না তা নিয়ে আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন।

ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এই কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ৫৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রদল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ