Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রতিযোগিতা আইনে জিডিপি বাড়বে

প্রতিযোগিতা কমিশন ও ইআরএফের যৌথ সেমিনারে বক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

 সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান বাড়ানোর মৌলিক আইন হল প্রতিযোগিতা আইন। এই বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রতিযোগিতা কমিশন। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার কমপক্ষে ২ শতাংশ বাড়বে। পাশাপাশি দেশে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলেও তা সুস্থ নয়। এক্ষেত্রে পণ্যে ভেজাল দেয়ার প্রতিযোগিতা রয়েছে। খাবারের নামে মানুষ কী খাচ্ছে, তা কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়ন হলে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ হবে। এতে পণ্যের দামও কমবে।

গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার ফোরামের (ইআরএফের) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতা কমিশন ও ইআরএফ যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মো. আব্দুর রউফ, পরিচালক মো. খালেদ আবু নাছের, শ্রম ও উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের ডবিøউটিও সেলের সাবেক মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী এবং ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইর পরামর্শক মো. মঞ্জুর আহমেদ।

মো. আব্দুর রউফ বলেন, বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে বিভিন্ন নামে প্রতিযোগিতা আইন ও কমিশন রয়েছে। যে সব দেশ আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে, ওই সব জিডিপি ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০১২ সালে এই হয়েছে। আর আইন বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালে কমিশন গঠিত হয়। কিন্তু এখনও বিধিমালা ও প্রশাসনিক কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও সম্পর্ক বাড়ানোর কাজ চলছে।

তিনি বলেন, এই কমিশনের কাজ হল দেশে টেকসই অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা। সার্বিকভাবে মানুষের জীবন যাত্রার মান বাড়ানো। তারমতে, উদ্যোক্তাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকলে পণ্যের মান ও উৎপাদন বাড়ে। কারণ তখন উদ্যোক্তারা বাজার দখলের জন্য নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসে।

মুনির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশের অর্থনীতিকে নিজস্ব শক্তিতে দাড়াতে হলে প্রতিযোগিতা কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। সাইফ ইসলাম দিলাল বলেন, দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নের বিকাশে কাজ করছে গণমাধ্যম। এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থে যে কোনো ইতিবাচক উদ্যোগ বাস্তবায়নে ইআরএফের সদস্যরা পাশে থাকবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিডিপি

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ