Inqilab Logo

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে রক্তক্ষয়ের সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলো

প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সমকামীদের একটি নৈশক্লাবে এক বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসে কোনো জনসমাগমস্থলে গুলি চালিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা। এর আগে এ ধরনের রক্তক্ষয়ী হামলাগুলোর দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক- ৩২ জনকে হত্যা (১৬ এপ্রিল ২০০৭): ওই দিন ব্ল্যাকবুর্গের ভার্জিনিয়া টেকে-র শিক্ষার্থী ২৩ বছর বয়সী সেউং-তুই চো বন্দুক হাতে দুটি স্থানে ৩২ জনকে হত্যা করে এবং ক্যাম্পাসে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে আরও বেশ কয়েকজনকে আহত করে। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেন।
২৬ জনকে হত্যা (১৪ ডিসেম্বর ২০১২): ওই দিন অ্যাডাম লানজা নামের ২০ বছর বয়সী এক তরুণ স্যান্ডি হুকনিউ টাউনের এলিমেন্টারি স্কুলে গিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে ছয়/সাত বছর বয়সী ২০টি শিশু এবং বিদ্যালয়ের ছয়জন কর্মী নিহত হন। হামলাকারী আত্মহত্যা করে। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, অ্যাডামের মা ন্যান্সি লানজাও গোলাগুলিতে আহত হয়ে পরে মারা যান। এ ঘটনায় হামলাকারীসহ মোট ২৮ জনের প্রাণ যায়। ২৩ জনকে হত্যা (১৬ অক্টোবর ১৯৯১): টেক্সাসের কিলিনে ৩৫ বছর বয়সী জর্জ হার্নান্দ প্রথমে নিজের পিকআপ দিয়ে একটি ক্যাফেটেরিয়ার দেয়ালে সজোরে ধাক্কা মারেন। এরপর তিনি গুলি চালিয়ে ২৩ জনকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন।
২১ জনকে হত্যা (১৮ জুলাই ১৯৮৪): ৪১ বছর বয়সী জেমস হুবের্তি ক্যালিফোর্নিয়ার সান ইসিদ্রোয় ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডের দোকানে ঢুকে একটি শটগান ও একটি হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি চালিয়ে ২১ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। এক ঘণ্টা পর পুলিশ গুলি করে হুবের্তিকে হত্যা করে। ১৬ জনকে হত্যা (১ অগাস্ট ১৯৬৬): টেক্সাসের অস্টিনে চার্লস জোসেফ হিটম্যান নামে সাবেক এক মেরিন সেনা টেক্সাস টাওয়ারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চালিয়ে ১৬ জনকে হত্যা করে। ওই দিন টেক্সাস টাওয়ারে আসার আগে হিটম্যান তার মা ও স্ত্রীকেও গুলি করে হত্যা করে। পরে টাওয়ারের ভেতর পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। ১৪ জনকে হত্যা (২ ডিসেম্বর ২০১৫): ওই দিন সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক ও তাশফিন মালিক দম্পতি সান বের্নার্দিনোতে ইংল্যান্ডের সরকারি সেন্টারে সরকারি কর্মচারীদের একটি পার্টিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করে। ১৪ জনকে হত্যা (২০ অগাস্ট ১৯৮৬): ওই দিন প্যাট্রিক হেনরি নামের একজন অস্থায়ী ডাকপিয়ন ওকলাহামায় তিনটি হ্যান্ডগান দিয়ে ১০ মিনিটে ডাকঘরের ১৪ জন কর্মীকে হত্যার পর নিজের মাথায় গুলি করে। ১৩ জনকে হত্যা (৫ নভেম্বর, ২০১৩): টেক্সাসের ফোর্ট হুডে মেজর নিদাল মালিক হাসান ১৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে। পরে বিচারে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। ১৩ জনকে হত্যা (৩ এপ্রিল ২০০৯): নিউ ইয়র্কের জিভারলি অং একটি অভিবাসী কমিউনিটি সেন্টারে গুলি করে ১৩ জনকে হত্যা এবং চারজনকে আহত করে আত্মহত্যা করেন। ১৩ জনকে হত্যা (২০ এপ্রিল ১৯৯৯): কলোরাডোর কলাম্বিন হাই স্কুলের এরিক হ্যারিস (১৮) ও ডিলান ক্লেবল্ড (১৭) তাদের ১২ জন সহপাঠী ও একজন শিক্ষককে হত্যার পর নিজেরা আত্মহত্যা করেন। ১৩ জনকে হত্যা (১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩): তিন ব্যক্তি সিয়াটলের ওয়াহ মি গ্যাম্বলিং এন্ড সোস্যাল ক্লাবের ১৩ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে প্রত্যেককে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। ১৩ জনকে হত্যা (২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২): পেনসিলভানিয়ার সাবেক কারারক্ষী ৪০ বছর বয়সী জর্জ ব্যাংকস নিজের পাঁচ সন্তানসহ ১৩ জনকে হত্যা করেন। বিচারে প্রথমে তার মৃত্যুদ- হয়। কিন্তু পরে পেনসিলভানিয়ার সুপ্রিম কোর্ট তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ ঘোষণা করে এবং মৃত্যুদ-ের রায় বাতিল করে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে রক্তক্ষয়ের সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলো
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ