Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যাত্রীদের আস্থা অর্জন করুন: বিমান কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৬:৫৪ পিএম

সততা ও আন্তরিকতার সাথে মানসম্পন্ন সেবা দেয়ার মাধ্যমে যাত্রীদের আস্থা অর্জন করতে আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের একটি অনুরোধ করব, আমরা কষ্টার্জিত অর্থে এসব উড়োজাহাজ ক্রয় করেছি...আপনাদের অবশ্যই আন্তরিকতার সাথে এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করতে এবং যাত্রীদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য কেনা চতুর্থ অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ভৌগলিক অবস্থানের কারণে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি আরও অধিক যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে এবং পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে সেতুবন্ধন হয়ে উঠতে পারবে।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিতে গতি আনতে দুটি কার্গো উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা
‘পণ্য পরিবহনে আমরা দুটি কার্গো বিমান ক্রয় করব... আমরা কার্গো ভিলেজ স্থাপন করব যাতে আরও সহজে রপ্তানি করতে পারব... আমরা এ পদক্ষেপ নেব,’ বলেন তিনি।
বিমানের জন্য আরও তিনটি ড্যাস উড়োজাহাজ কেনার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি শুনেছেন যে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িং অতি শিগগিরই দুটি উড়োজাহাজ বিক্রি করতে যাচ্ছে। ‘কেউ একজন অর্ডার দেয়ার পর এখন আর এগুলো নিচ্ছে না। আমরা এ সুযোগটি কাজে লাগাব।’



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:৩৭ পিএম says : 0
    বিমান কিনে প্রধানমন্ত্রী পয়সার অপচয় করছেন এটা নিন্দুকেরা ফলাও করে বহুদিন যাবত প্রচার করে বেড়াছে। এই কথা বলে নিন্দুকেরা জনগণের আস্তাও কুড়াচ্ছেন। কারন বিমান বাংলাদেশ এত বিমান কেনার পরও কোটি কোটি টাকা লোকশান দিচ্ছে!!! তাদের সেবা এতই নিম্নমানের যে যাত্রীরা একবার বিমানে উঠলে আর উঠতেই চায় না। আমি নিজেই এর প্রমাণ, আমি ৪ বছর পূর্বে বিমানের যাত্রী হয়ে দেশে ফিরছিলাম কিন্তু তাঁর খেসারত আমাকে দিতে হয়েছিল। আমি অটোয়া থেকে লন্ডন হয়ে ঢাকা যাচ্ছিলাম, লন্ডনে পৌছানোর পর আমার হার্টের অসুবিধা হলে আমাকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং আমার চিকিৎসা দেয়ার পর বিমানের কোন ফ্লাইট না থাকায় আমাকে দুইদিন হাসপাতালে থেকে তারপর ৫ দিন হোটেলে নিজ খরচে থাকতে হয়েছে কারন বিমানের সপ্তাহে তখন মাত্র ১/২ ফ্লাইট তাই সিট পাওয়া মানে সর্গ পাবার মত। এই ৫ দিনের খরচ টানতে গিয়ে আমাকে হিমশিম খেতে হয়েছে। বিমান আমার কোন তোয়াক্কাই করেনি এমন কি পরবর্তী ফ্লাইটে আমাকে সিট দিলে আমাকে ২ দিন হোটেল বাস করতে হতো। কিন্তু সিটের অজুহাতে আমাকে ৫ দিন হোটেলের বিল দিতে হয়। এরপর আবার বিমানে খাবারের যে অবস্থা সেটা ব্যাখা দেবার নয়। এখন বিমানে যাত্রা করার কথা মনে হলেই আমার ভয় হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের কোটি কোটি নাগরিক দেশ বিদেশ ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন বিমানে কিন্তু এদের ১০% বিমানে ভ্রমণ করে না যার জন্যে বিমানের এই দুর্গতী। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিমানে যাত্রা করে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুর সামনা সামনি হয়েছিলেন। সেখানে সাধারন নাগরিকদের মানে বিমান যাত্রীদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি? আল্লাহ্‌ বিমানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে পকেট বানিজ্য বন্ধ করে সত্য কথা বলা ও সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ