Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভাইরাল এনকেফেলাইটিস

ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

এনকেফেলাইটিস পরিচিত রোগ । আমাদের দেশে অনেক রুগী পাওয়া যায় । মস্তিষ্ক বা ব্রেনের তীব্র প্রদাহকে বলা হয় এনকেফেলাইটিস। বিভিন্ন কারণে এনকেফেলাইটিস হতে পারে। ভাইরাস দিয়ে হলে তাকে বলে ভাইরাল এনকেফেলাইটিস। এই সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাস সংক্রমণের ফলেই হয়। অসুখটি খুব তীব্র হয়ে রুগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে বা প্রচন্ড খিঁচুনি হতে পারে। তাই এই রোগের জরুরি ভিত্তিতে সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তবে সঠিক চিকিৎসার পরেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেকেই মৃত্যুবরণ করে।
বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণে ভাইরাল এনকেফেলাইটিস হতে পারে। এসব ভাইরাসের মধ্যে আছে ঃ
১। হারপিস ভাইরাস ২। ভেরিসেলা জোসটার ভাইরাস ৩। ডেঙ্গু ভাইরাস ৪। মিসেলস ভাইরাস ৫। মাম্পস ভাইরাস ৬। রুবেলা ভাইরাস ৭। নিপাহ ভাইরাস ৮। ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস ৯। সেন্ট লুইস ভাইরাস ১০। এনটারো ভাইরাস ১১। র‌্যাবিস ভাইরাস ইত্যাদি। এনকেফেলাইটিসে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। এসবের মধ্যে আছেঃ
১। জ্বর ২। মাথা ব্যথা । উপসর্গগুলি দ্রæত খারাপ হতে থাকে। ৩। বমি ৪। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ৫। খিঁচুনি
রোগের লক্ষণ দেখে এবং রোগীর শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা এই রোগ সন্দেহ করেন। এই রোগ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার জন্য রক্ত ও সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষা করা হয়। প্রয়োজনে মস্তিষ্কের ইইজি এবং সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করা হয়।
ভাইরাল এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় উপসর্গগুলি কমানোর চেষ্টা করা হয়। নির্দিষ্ট ভাইরাস যদি নির্ণয় করা যায় তবে ভাইরাস বিরোধী ওষুধ দেয়া হয়। রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করতে হবে। বাসায় এই রোগের চিকিৎসা কোনভাবেই করা যাবেনা । এই রোগে আক্রান্ত অল্পবয়সের রোগী অনেকসময় জটিল সমস্যা ছাড়াই সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু বয়স্ক ও একদম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের জন্য বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। মৃত্যুও হতে পারে।
যে সমস্ত সংক্রামক রোগের ফলে এনকেফেলাইটিস হয় সেগুলি থেকে দূরে থাকতে হবে। ভ্যাক্সিন দিয়ে রোধ করা যায় এমন রোগের টিকা নিতে হবে। ডেঙ্গুর মত মশার কামড়েও কিছু এনকেফেলাইটিস ভাইরাস ছড়ায় । তাই মশার কামড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে হবে।

 



 

Show all comments
  • Gawsul Azom ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:৩৭ পিএম says : 0
    আমার বোন আজ ২০ বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত। সে কথা বলতে পারেনা, চলাচল করতে পারে না, পুরো বিছানাগত, সে কিছু বলতে পারে না বুঝতে পারে না। অনেক কষ্ট আছি।
    Total Reply(0) Reply
  • সব্যসাচী ঘটক ১ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৪৭ পিএম says : 0
    আমি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ছিলাম 5 বছর আগে।বর্তমানে আমর সৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে গেছে। সৃতিশক্তি ফিরে পাব কি ভাবে?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাইরাল


আরও
আরও পড়ুন