পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করেনা। তিনি বলেন, ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করলে কী হয় সেটা জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার সময় টের পেয়েছি। কাজেই ক্ষমতা দখলের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না।
শুক্রবার বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন উপলক্ষে সদরঘাট টার্মিনালে সন্ধানী জাহাজে ‘নদীর আইনি অধিকার নিশ্চিত করুন’ শীর্ষক ভাসমান সভায় একথা বলে প্রতিমন্ত্রী। নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর এ সভার আয়োজন করে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকটা বিষয়ের টার্নিংপয়েন্ট থাকে। নদীকে নিয়ে কিছু করার টার্নিংপয়েন্ট বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে। এটাকে যদি এ মুহূর্তে কাজে না লাগাই, এটা যদি হাতছাড়া হয়ে যায় তাহলে আমরা আর এটা কখনো পারবো না। নদী এতো বেশি দখল হয়ে গেছে, এখন এটা উদ্ধার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসন, সেই শাসনের কাছ থেকে নদীও রক্ষা পায়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে সবাই মিলে নদী দখলমুক্ত করতে হবে। সরকার চারটি নদীকে ঘিরে পদক্ষেপ নিয়েছে, সমাজের সবাই এটাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। মিডিয়া ভ্যানগার্ডের মত ছিল। যারা দখলের রাজনীতি করেন, তারা কিন্তু এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি। এটা দুর্ভাগ্য, কারণ এটা নিয়ে প্রশংসা করলে সরকারের পক্ষে চলে যাবে একারণে তারা কিছু বলেন না। তারা তো ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনীতি করেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন, কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় এসে নদীর দিকে কোন দৃষ্টি দেয়নি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে হত্যার প্রচেষ্টায় নদীসহ সবকিছু এলোমোলো করে দেয়া হয়। জিয়া, এরশাদ নদীর প্রতি যত্ন দেয়নি। অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে তারা যেভাবে যুবসমাজকে কলুষিত করছিল ঠিক তেমনি নদীকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুবউল ইসলাম, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, ব্যারিস্টার ফারজানা আহম্মেদ, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম মারুফ, এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক জ ই মামুন, টিভি উপস্থাপক মোশারফ হোসেন, পরিবেশবিদ এজাজ আহমেদ এবং নোঙর এর সভাপতি সুমন শামস বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।