Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ওলামা-মাশায়েখের মিলন মেলা

সব শিক্ষক শিগগিরই নতুন স্কেলে বেতন পাবেন -শিক্ষামন্ত্রী : ইসলাম একদিন সারা বিশ্বে রাজত্ব করবে -পরিকল্পনামন্ত্রী বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে -এ এম এম বাহাউ

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:১৮ পিএম, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষক খুব শিগগিরই নতুন স্কেলে বেতন পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের মতো মাদরাসা শিক্ষকরাও এই বেতন পাবেন। গত জুলাই থেকেই তা কার্যকর হবে। বেতন পাওয়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই; এ নিয়ে শিক্ষা সচিব কাজ করছেন। শিক্ষক সংখ্যা বেশি হওয়ায় একটু সময় লাগছে। মাদরাসা শিক্ষকদের একমাত্র অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, মুসলিম বিশ্ব যুদ্ধের মধ্যেও সম্পদ ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি রাষ্ট্র ভেঙে একাধিক হচ্ছে। এসব রাষ্ট্রের নেতৃত্বে আসছে তরুণরা। বাংলাদেশও এর থেকে বাইরে নয়। শত টানাপাড়েনের মধ্যেও বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ইসলামী সমাজব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত শুকরিয়া সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকারের সময়ে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপন ও নতুন বেতন স্কেলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করায় এই শুকরিয়া সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকেই নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আপনারা কেউ কারো কোনো বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না। কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালেই বিভ্রান্ত হবেন না। বিভ্রান্তিকর কথা শুনলে তা যাচাই করে দেখবেন। নতুন প্রতিষ্ঠিত স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা নতুন হয়েছে সেগুলো এমপিওভুক্ত হয়নি। পরবর্তীতে একসাথে এগুলো করা হবে। এবতেদায়ী মাদরাসার সমস্যা সমাধান করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি, এবতেদায়ীর সমস্যাও সমাধান করা হবে। তবে সময় লাগবে, ধৈর্য ধরতে হবে। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অপপ্রচার করা হতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মাদরাসা শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ আমরা ইতোমধ্যে এক হাজার ৩৩০টি নতুন মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছি, আরও দেড় হাজার ভবন নির্মাণ করা হবে। আর যারা এই অপপ্রচার ছড়িয়েছিল তাদের সময় একটিও ভবন নির্মাণ করতে পারেনি। তার সময়ে শিক্ষানীতি প্রণয়ন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছি। কারণ নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি হলো ধর্মীয় শিক্ষা। যারা ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবেন, তারা একদিকে যেমন যোগ্য আলেম হবেন, তেমনি ভালো, সৎ অফিসারও হবেন।
শুকরিয়া সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ইসলামের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এসব বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা দূর করবে। এটি সত্যিকার ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলে, আমরা তার কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা জানাই। তিনি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় তা উপস্থাপন করতে বলেন। এরপর এটা নিয়ে আমি এবং জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন কত দিন, কত রাত, কত ঘণ্টা ব্যয় করেছি এটা আমরা জানি। এরপর আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এটা আমি উপস্থাপন করি এবং সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত তা সমর্থন করে। পরবর্তীতে ওই সভায় এ প্রস্তাব পাস হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ৫ থেকে ৬শ’ বছর আগে ইউরোপ তথা সারা বিশ্বে ইসলামের জয়জয়কার ছিল। ইউরোপীয়রা জ্ঞান অর্জনের জন্য আরবি ভাষা শিখতো। আর এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা আরবি বাদ দিয়ে ইংরেজি শিখছে। এটি হয়েছে আমাদের অবহেলা, মূর্খতা আর হীনমন্যতার কারণে। আমরা পড়াশোনা থেকে সরে এসেছি। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রথম যখন মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার হলো তখন বলা হলো মুদ্রিত কোরআন পড়া যাবে না। অথচ তখন কুরআন মুদ্রিত হলে সারা বিশ্বে অনেক আগেই তা ছড়িয়ে পড়তো। এটা করে ইসলামের অগ্রসরতা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এখনো ইসলামের উপর বারবার আঘাত আসছে। এই বাধা ও আঘাত আলেম সমাজকেই প্রতিহত করতে হবে। তারাই এটা ঠেকাতে পারে। এজন্য আলেমদের অনেক বেশি শিক্ষিত হতে হবে। ইসলামকে সঠিকভাবে জানতে হবে। আমাদের মধ্যে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে।
ইসলাম একদিন সারা বিশ্বে রাজত্ব করবে উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, এজন্য শুধু নামাজের খতবাতেই নয়, আলেমদের কাজ হচ্ছে কোরআনের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। মানুষকে ইসলামের পথে আকৃষ্ট করা। সৎকাজের আদেশ দিতে হবে অসৎকাজে মানুষকে নিষেধ করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদরাসা শিক্ষকদের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। তার আন্তরিকতায় আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, এবতেদায়ী থেকে শুরু করে বেতন-ভাতাসহ মাদরাসা শিক্ষকদের সকল সমস্যা ও দাবি-দাওয়া প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, সারা দুনিয়ায় মুসলিম বিশ্ব যুদ্ধের মধ্য দিয়েও সম্পদ ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি রাষ্ট্র ভেঙে একাধিক পতাকা ও পরিচয় হচ্ছে। এসব রাষ্ট্রের নেতৃত্বে আসছে মুসলিম তরুণরা। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। শত টানাপোড়েনের মধ্যেও বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ অন্যান্য দেশগুলো আইএস নিয়ে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে। এর অন্যতম কারণ এখানে মাদরাসা ও এর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। সমাজে তাদের প্রত্যেকের প্রভাব রয়েছে। দেশে সাড়ে চার লাখ মসজিদ ও এর ইমামগণ রয়েছেন। শিক্ষক ও ইমামরা মিলে সামাজিক চিন্তা ও নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ করেন। এই বিরাট শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সারা বিশ্ব যেখানে জঙ্গিবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন সেখানে বাংলাদেশ এ আশঙ্কা থেকে মুক্ত না। আমাদের সৌভাগ্য জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃত্বে এদেশের আলেম-ওলামাগণ ঐক্যবদ্ধ আছে। সরকার এর মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরে ম্যাসেজ পৌঁছে দিতে পারে। জমিয়াত সভাপতি বলেন, তলে তলে দেশে পরিবর্তন হতে পারে। উস্কানি দিয়ে দেশকে যেন কেউ বিপথে নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক মত ও চিন্তা থাকতে পারে তবে জমিয়াতের পতাকাতলে সবাই ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। মুসলমানরা যেন নিরাপদ থাকে, আলেম-ওলামাগণ যেন সম্মানিত থাকেন এবং নিরাপত্তা বোধ করেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের মধ্য থেকে মাঝে মাঝে মাদরাসা, মসজিদ, জুমা, খুতবা ও ইসলামী আদর্শবিরোধী এমন মন্তব্য করা হয় যা বিব্রতকর এবং দেশকে অশান্তির দিকে ঠেলে দেয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন বলেন, এবতেদায়ী স্তরে কিছু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে টিকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই এবতেদায়ী স্তরকে শক্তিশালী করতে হবে। এবতেদায়ী হলো মাদরাসা শিক্ষার ভিত্তি। যার উপর দিয়ে যেতে হবে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর এজন্যই শেখ হাসিনা অবশ্যই এবতেদায়ী স্তরের সমস্যার সমাধান করবেন। কারণ শেখ হাসিনা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কাছে কোন কিছুর দাবি করতে হয় না। আগে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মিছিল-সমাবেশ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় আসার পর তা করা লাগেনি। তার আগেই তিনি দিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের দাবির বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। আমার বিশ্বাস আপনাদের সমস্যার সমাধান উনি করবেন। তিনি আরও বলেন, আপনারা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকলে আপানাদের দাবি করতে হবে না, সরকার আপনাদের দাবি পূরণের জন্য আপনাদের কাছে আসবে। সকল দাবিই পূরণ হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সম্পর্কে বজলুল হক হারুন এমপি বলেন, ঢাকার রাজপথে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছি, শ্লোগান দিয়েছি। এখন আমি সেটির সিন্ডিকেট সদস্য হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন ও আন্দোলনের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে বাস্তবায়ন করেছেন। আলেয়া মাদরাসার বিষয়ে তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত আলীয়া মাদরাসা থেকে কোন জঙ্গি বের হয়নি।
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা না হলে জীবন সুশৃঙ্খল হয় না। শিক্ষকরা ছাত্রদের যেভাবে দিকনির্দেশনা দেবে, যেভাবে শেখাবে ছাত্রদের মনে সেটি গেঁথে যাবে। এজন্য ছাত্রদেরকে দুর্নীতি, অন্যায় ও খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকার শিক্ষা দিতে হবে। ছাত্রদের জন্য নিজেদেরকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল সমস্যা পর্যালোচনা করছে, যেগুলো সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব তা করা হবে।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খান বলেন, গোটা দুনিয়া যখন অন্ধকারে ছিল তখন ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ, দার্শনিকদের জন্ম হয়েছিল। দীর্ঘকাল ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে থাকার কারণে ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়া ইসলামের সেই স্বর্ণযুগকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষব্যাপী আন্দোলন। যে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে দাবি পূরণ হয়েছে। এবতেদায়ী মাদরাসার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এক সময় ২২ হাজার এবতেদায়ী মাদরাসা ছিল এখন মাত্র এক হাজার ৫শ’। এবতেদায়ী যদি না থাকে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কী হবে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এবতেদায়ীতে শিক্ষার্থী না থাকলে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থহীন হয়ে যাবে। আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে সফল করার জন্য তিনি আরও ২৫ হাজার এবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, এবতেদায়ী শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না, শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পায় না। শিক্ষকরা অনেক কষ্টের মধ্যেও দ্বীনি শিক্ষা ধরে রেখেছেন। এছাড়া অনেক মাদরাসা এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। এসব সমস্যা সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের কাছি জোর দাবি জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আ খ ম আবু বক্কর সিদ্দিক, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, মাওলানা শাহ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, মাওলানা আবুল ফারাহ মো. ফরিদ উদ্দিন, মাওলানা শাহ নেছারউদ্দিন ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা ড. ইদ্রিস খান, মাওলানা মনোওয়ার আলী, মাওলানা নূর বখত, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হান্নান, মাওলানা আনছার উল্লাহ, মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল রব, মাওলানা ওজায়েরুল ইসলাম, মাওলানা ড. আবদুর রহমান, মাওলানা শাহদত হোসাইন, মাওলানা হাসান মাসউদ, মাওলানা আব্দুল খালেক, মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, মাওলানা জহিরুল হক, মাওলানা হাফেজ জালাল উদ্দিন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওলামা-মাশায়েখের মিলন মেলা

৩১ জানুয়ারি, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ