মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের ব্যাপক এলাকা খরার কবলে পড়তে পারে। এমনকি ভারতের যে এলাকাগুলো এত দিন ‘খরাপ্রবণ’ বলে চিহ্নিত হয়নি, সেসব অঞ্চলও এবার খরার কবলে পড়তে পারে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’র এক যৌথ পর্যবেক্ষণে এই অশনিসঙ্কেত দেয়া হয়েছে।
গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় গত চার বছর ধরে গবেষণাটি চালানো হয়েছে। তার প্রথম পর্বটি সবে শেষ হয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে। গরমকালে দক্ষিণ এশিয়ার বায়ুমÐলে বিপুল অ্যারোসল কণা জমা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, তার পরিমাণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বায়ুমÐলে অ্যারোসলের স্তর গত চার বছরে এতটাই পুরু হয়ে গেছে যে, তা বায়ুমÐলের একেবারে নিচের স্তর ট্রপোস্ফিয়ার থেকে পৌঁছে গেছে তার উপরের স্তর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারেও। যেহেতু বিষাক্ত গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর নির্গমন থেকেই অ্যারোসলের জন্ম হয়, তাই অ্যারোসলের মাধ্যমে দূষণকণা প্রচুর পরিমাণে পৌঁছে যাচ্ছে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারেও।
যে মেঘে বরফকণা, সেখানেও দ্রæত বাড়ছে অ্যারোসল। দেখা গেছে, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে যে মেঘগুলোতে বরফকণা মিশে থাকে, ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা খুব কম হয় বলে, সেখানেও ঢুকে পড়েছে অ্যারোসল কণা। আর তাদের পরিমাণ, ঘনত্ব ও আকার উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
রশান্ত মহাসাগরে ‘এল নিনো’র দরুন গত বছরেই ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছিল পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। নাসা-ইসরোর যৌথ গবেষণার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, বায়ুমÐলে অ্যারোসলের স্তর অত্যন্ত পুরু হয়ে যাওয়ায় ভারতে এ বার সেই খরা আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে চলেছে। গবেষক তিরুপতির ‘ন্যাশনাল অ্যাটমোস্ফেরিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি’ (এনএআরএল বা ‘নার্ল’)-এর আবহাওয়া বিজ্ঞানী মুরলি বেঙ্কট রতœম বলেন, গবেষণার একটি ধাপ সবে শেষ হয়েছে। আমরা কাজ করেছি এশিয়ান ট্রপোপোজ অ্যারোসল লেয়ার বা ‘অ্যাটাল’ নিয়ে। বেলুনের মাধ্যমে কয়েকটি সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিকে ট্রপোস্ফিয়ার ছাড়িয়ে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার পর্যন্ত পাঠিয়ে বেলুনের মাধ্যমে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে এই পদ্ধতিকে ‘ব্যাটাল’ও বলা হয়।’
গবেষণা বলছে, গাছপালা পোড়ানো ও কলকারখানা থেকে বেরিয়ে আসা বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়ায় ওই অ্যারোসল্স কণার জন্ম হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির অতি ব্যবহারে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়ায় বায়ুমÐলে উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গিয়েছে অ্যারোসল কণার পরিমাণ। তার ফলে, অ্যারোসলের স্তর ভীষণ পুরু হয়ে গিয়েছে। ট্রপোস্ফিয়ার ছাপিয়ে তা পৌঁছে গিয়েছে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে। সূত্র : আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।