Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাশ্মিরে ১৩ হাজার শিশু আটক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ পিএম

এবার কাশ্মিরে হাজার হাজার শিশুকে আটক করা হয়েছে বলে একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে। এর ফলে উপত্যকায় স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসছে বলে যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবিতে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। কাশ্মির সফর করে অ্যাক্টিভিস্টরা দেখতে পেয়েছেন যে ৫ আগস্ট স্বায়াত্তশাসন মর্যাদা বাতিল করার পর সেখানে প্রায় ১৩ হাজার ছেলেকে আটক করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ওম্যানের নেতৃত্বে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৪ বছরের ছেলেদেরকেও ৪৫ দিন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে।
এতে আরো দাবি করা হয়, শিশুদের মুক্তির জন্য পরিবারগুলোকে ৬০ হাজার রুপি পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যের স্বায়ত্তাশাসন-সংবলিত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ ও ৩৫ক বাতিল করার পর থেকে সেখানে কঠোর কারফিউ জারি করা হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়।

তবে সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ বলেন যে বিঘ্নতার সব কাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দেয়া ভাষ্য।
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র কৃষ্ণ সাগর রাও টেলিগ্রাফকে বলেছেন, রাজ্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য কাশ্মিরি রাজনীতিবিদদের আটক রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, কাশ্মিরের রাজনীতিবিদেরা লোকজনকে উস্কে দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিল।
সরকারের হিসাব অনুযায়ী দুই শতাধিক স্থানীয় রাজনীতিবিদকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহও রয়েছেন।
কত জন শিশুকে আটক রাখা হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো সরকারি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কেন এসব শিশুকে আটক করা হয়েছে, তার কারণও জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর লোকজনের প্রতি পাথর নিক্ষেপ করার জন্য তা করা হয়েছে।
অ্যাক্টিভিস্টরা ১৭ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর কাশ্মির সফর করেন। তারা জম্মু ও কাশ্মিরের পুলিশ, চিকিৎসর ও অধ্যাপকদের সাথে কথা বলেন।

তাদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ছেলেদের গ্রেফতার করার সময় কর্তৃপক্ষ বাড়াবাড়ি রকমের শক্তিপ্রয়োগ করছে। আর আটক রাখার সময় অনেকের ওপর নির্যাতনও চালানো হচ্ছে।
গত শনিবার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর ১৫ বছরের একটি ছেলে আত্মহত্যা করে।
ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ওম্যানের সাধারণ সম্পাদক অ্যানি রাজা বলেন, এটা গণহত্যার ভারতীয় সংস্করণ।
তার সংগঠন ৫ আগস্টের পর আটক সব শিশুর মুক্তি দাবি করেছে।
সূত্র : টেলিগ্রাফ.কো.ইউকে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ