Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জয়পুরহাটে ‘বন্দুক যুদ্ধে’ ২ যুবলীগ নেতা নিহত

প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জয়পুরহাট  জেলা সংবাদদাতা : জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান একে আজাদ হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সোহেল ও মনির হোসেন গোপালপুর এলাকায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ওসিসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল ২ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগাজিনসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মোহাম্মদ সোহেল ভাদশা ইউনিয়নের ছাওয়ালপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ও চেয়ারম্যান এ কে আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং তার সহযোগী- মুনির হোসেন কোঁচকুড়ি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। সে একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বলে পরিবারের দাবি। তাদের মৃতদেহ জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাহতে নিহত সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদের বাড়িতে হামলার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী কোঁচকুরি-গোপালপুর এলাকায় সমেবেত হয়েছে, এমন খবরে মঙ্গলবার ভোর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সস্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাপাথাড়ী গুলি ছোঁড়ে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই দুইজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৪জুন স্থনীয় দূর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজবাড়ি- কোঁচকুড়ি গ্রামে ফেরার পথে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এ কে আজাদকে কুপিয়ে ও গুলি করে মারাত্মক জখম করে। এ সময় পথচারি নয়ন চন্দ্রও গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হন। চেয়ারম্যান আজাদ গত রোববার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জয়পুরহাটে ‘বন্দুক যুদ্ধে’ ২ যুবলীগ নেতা নিহত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ