Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাংবাদিক আফতাব চৌধুরীর দেশ-দেশান্তর প্রাসঙ্গিক প্রকাশনা

নাজমুল ইসলাম মকবুল | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আফতাব চৌধুরী একজন ভ্রমণবিলাসি মানুষ। ইতিমধ্যে তিনি অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। দেশ ভ্রমণের বিচিত্র অভিজ্ঞতাও তাঁর লেখনীতে ফুটে উঠেছে। সদ্য প্রকাশিত দেশ-দেশান্তর গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধগুলোর বিষয় মুলত বহির্বিশ্ব। উক্ত বইয়ে লিখেছেন চীন, সিরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, আল-আকসা, দার্জিলিং, কাতালুনিয়া, মায়ানমার, ইরান-ইসরায়েল, থাইল্যান্ড, নেপাল, জম্মু ও কাশ্মির, তিব্বত ও ভেনিজুয়েলা প্রভৃতি দেশের বিষয়আশয় নিয়ে। প্রবন্ধগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে রচিত লেখাটি। গ্রন্থটির ভূমিকায় কথাগুলো লিখেছেন প্রফেসর মো: আজিজুর রহমান লস্কর। 

পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নে চির-সংগ্রামী, চির যৌবনা সাংবাদিক ও সুপুরুষ ‘বৃক্ষপ্রেমিক’ আফতাব চৌধুরীর মধ্যে লেখক ও সাংবাদিক উভয়টির সমন্বয় যেন জড়িয়ে আছে নির্ভেজালভাবে। ‘রাষ্ট্র ও সমাজ চিন্তক’ প্রবীণ এ লেখক আন্তর্জাতিক বিশ্ব পরিস্থিতির বিভিন্ন বিষয়আশয় নিয়েও লিখে যাচ্ছেন অবিরত। লেখকের এ পর্যন্ত (১)ইদানিং (২) সত্যের মুখোমুখি, (৩) আলোর সন্ধানে,(৪) ইতিকথা,(৫) জীবন ও জগৎ, (৬) কৌতুক, (৭) নির্বাচিত কলম, (৮) নজরুল প্রতিভার নানা দিগন্ত, (৯) প্রত্যাশার দিগন্তে কালো মেঘ, (১০) হাসতে নেই মানা, (১১) আলো, (১২) একের ভিতর একুশ, (১৩)প্রকৃতি ও জীবন, (১৪) হাসি যখন ভালোবাসি, (১৫) চেতনায় আলো অনির্বাণ, (১৬) অবদানে অমলিন, (১৭) কালের সাক্ষী, (১৮) স্বাস্থ্য সমাচার, (১৯) ভাবনা যত মনে, (২০) দেশ দেশান্তর নামক কুড়িটি মুল্যবান গ্রন্থ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।
গ্রন্থটিতে স্থান পাওয়া ২৩ টি প্রবন্ধের সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ লেখা। গ্রন্থের শেষের দিকে আফতাব চৌধুরী: অন্যের চোখে অনন্য শিরোনামে লেখক সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেছেন আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক প্রাবন্ধিক ও গবেষক খলকু কামাল। খলকু কামাল শুরু করেছেন এভাবে- দেশ এবং বিদেশের কোনো না কোনো পত্রিকায় প্রায় প্রতিদিনই যার অন্তত একটা লেখা প্রকাশিত হয়, যার লেখার ব্যাপ্তি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, ধর্ম থেকে ব্রহ্ম, রাজপ্রাসাদ থেকে কুড়েঘর, আলো থেকে অন্ধকার, সুখ-দুঃখ, সত্য-মিথ্যা, হাসি-আনন্দে ভরা, শুধু কি তাই, দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক সীমানায় নোঙ্গর করেন-রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, কৃষি, বৃক্ষ, বাণিজ্য, ঐতিহ্য, মনন, মেধা আবিষ্কার, পরিবেশ বাস্তবতা এসবের প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ দেন, তিনি ধীমান এবং সব্যসাচি লেখক সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী। লেখক সম্পর্কে সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর মুহাম্মদ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি এর পূর্বের গ্রন্থের সূচনাপর্বে লিখেন,‘প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক আফতাব চৌধুরী সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম ও বিশ্বলোকের বিবিধ বিষয় মমত্ব নিয়ে আপন হৃদয়ে যেভাবে ধারণ করেন তার সার্থক প্রতিফলন ঘটেছে আলোচ্য গ্রন্থে। সিলেট লেখক ফোরামের উপদেষ্টা পরিবেশ তারকা আফতাব চৌধুরীর এ গ্রন্থটির গর্বিত প্রকাশক ফারহানা খানম চৌধুরী, ফাহমিদা সুলতানা চৌধুরী, স্বত্ব আয়ান ও এলিনা। প্রকাশকাল জুন ২০১৯। নান্দনিক প্রচ্ছদ এঁকেছেন জোবায়রা আক্তার শাহরিন, অক্ষরবিন্যাস জুঁই/সুমি, অলংকরণ মো. আব্দুল মুমিন। মুদ্রণ পান্ডুলপি প্রকাশন। বইটি উৎসর্গ করেছেন লেখকের প্রিয় সহধর্মিণী হামনা খানম চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনায়। চার রঙা শক্ত মলাটে বাঁধাই, ঝকঝকে অফসেট পেপারে ছাঁপা ১৬৮ পৃষ্টার শুভেচ্ছা মূল্য ধার্য করা হয়েছে ২০০ টাকা, যা পাঠকদের নাগালের বাইরে বলা যাবেনা। বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এ খোলা চিঠিতে ২০১৯ এর ২১ ফেব্রæয়ারিতে ইহলোক ত্যাগ করা ৪২ বছরের সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রেমময় সঙ্গীনী হামনা খানম চৌধুরী সম্পর্কে লিখেছেন এক আবেগময় হৃদয় হিম করা চিঠি লেখক নিজেই। ২য় ফ্ল্যাপ এ আছে লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচয়। গ্রন্থটির মাধ্যমে সমাজ রাষ্ট্র তথা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভান্ডারে লেখক আফতাব চৌধুরী অমর ও অক্ষয় হয়ে থাকবেন আজীবন।
উল্লেখ করা আবশ্যক বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্যে জীবদ্দশায় অন্তত কুড়িটি বই লিখে যাওয়ার স্বপ্নের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন লেখক বহু আগেই। সে হিসাবে পূর্ণ হয়ে গেল কুঁড়িটি। আরও কয়েকটি মূল্যবান বই প্রকাশের পথে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন লেখক। আমরা চাই আফতাব চৌধুরীর শতাধিক বই আলো ছড়াক দেশে বিদেশে। সেজন্য লেখকের লম্বা হায়াত প্রয়োজন। দরকার শারিরিক সুস্থতারও। নীরব সমাজসেবী মানবতাবাদী ও পরিবেশবিদ ও লেখক আফতাব চৌধুরীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনার পাশাপশি গ্রন্থটির বহুল প্রচার কামনা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিক

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন