Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সান্তাহার-বগুড়া মহাসড়ক সংস্কারে দীর্ঘসূত্রতা : ভোগান্তি চরমে

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

গত ২ বছরেও শেষ হচ্ছেনা সান্তাহার-বগুড়া মহাসড়কের কাজ চলছে। সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করনের সাথে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি কল্পে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের প্রশস্ত ও নতুন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় গত ২০১৭ সালের শেষ ভাগে। বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের প্রায় ৪২ কিলোমিাটার সড়কের নির্মাণ কাজ দুঁপচাচিয়ার চৌমহনী পর্যন্ত সম্পর্ণ হলেও চৌমুহনী থেকে আদমদীঘির শিবপুর পযর্ন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং তুলে খোয়া বালি দিয়ে রোলার করে রাখা রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ওইসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে মূত্যুকুপে পরিনিত হয়েছে। বৃষ্টির পানি শুকিয়ে গেলেও পুরো এলাকায় জমে কাদামাটি। ফলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ সড়কে এক ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে ৩ ঘণ্টারও বেশী সময় লাগছে।

এছারা আদমদীঘি উপজেলার শিবপুর থেকে পশ্চিম ঢাকারোডের নওগাঁ রাস্তা পর্যন্ত সান্তাহার শহর বাইপাসের প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়ক আগের মত রয়েছে। এখনো এলাকায় রাস্তার কার্পেটিং তোলার কাজ শুরু হয়নি। ফলে এই পুরাতন রাস্তার ডালম্বা, ইন্দইল, পোঁওতা রেলগেই, হবির মোড়, মটএলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব দুর্ঘটনার কারণে উক্ত স্থানগুলোতে যানবাহন পার হতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে বগুড়ার সান্তাহার, নওগাঁর মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর পতœীতলা, মান্দাও রাজশাহীর থেকে বগুড়া ও ঢাকামূখী যাত্রীসাধারণকে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়।
সড়ক বিভাগ বগুড়ার নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, সংশিষ্ট বিভাগের সচিব, ডিসি এসপিসহ উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জানা যায়, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সড়কের কাজ শেষ করা না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানতকৃত টাকা বাজেয়াপ্তসহ আগামী ৩ বছরের জন্য ওই ঠিকাদানী প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোগান্তি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ