Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকারকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ভারত-চীন বাধ্য করছে: টিআইবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:০৪ পিএম

বাংলাদেশ সরকারকে জিম্মি করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ভারত ও চীন বাধ্য করছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সরকার ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগকারীদের কাছে দাবি জানাব, বৈশ্বিক কয়লাভিত্তিক গ্রুপদের চক্রান্ত থেকে সরে যেতে হবে। বিশেষ করে ভারত ও চীন। তারা নিজেদের দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরে গিয়ে আমাদের দেশে এসে আগ্রাসীর সাথে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে সরকারকে জিম্মি করে দাবি আদায় করছে।’

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট বা গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকের সঙ্গে টিআইবির সংহতি প্রকাশ ও প্রতিবাদ র‌্যালিতে এ মন্তব্য করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। এই কার্যক্রমে কয়েক শত শিক্ষার্থী, পরিবেশ আন্দোলনকারী ও বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন অংশ নেয়।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক শত্রুর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের ঘরের শত্রু কিন্তু আরও বেশি বিভীষণ। কারণ ঘরের শত্রু এখন বাংলাদেশকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বৈশ্বিক হারে রূপান্তর করছে।’

সারা বিশ্বই যখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে জাতীয় কৌশলের অংশ হিসেবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্ভর হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যারা কার্বন নিঃসরণকারী জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে, পরিকল্পনা গ্রহণ করছে; তাদেরকে এই আত্মঘাতী পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’

২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের আহ্বান জানান টিআইবির এই নির্বাহী পরিচালক।

 


 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৭:৩৫ পিএম says : 0
    ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকার ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগকারীদের কাছে দাবি জানাব, বৈশ্বিক কয়লাভিত্তিক গ্রুপদের চক্রান্ত থেকে সরে যেতে হবে। বিশেষ করে ভারত ও চীন। আমি মনে করি উনি সঠিক কথাই বলেছেন। পৃথিবী থেকে যখন কয়লার ব্যাবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে পরিবেশ বাচানোর প্রচেষ্টায় রত ঠিক তখনই বাংলাদেশে নতুন করে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হচ্ছে। এতটা গরীব দেশ বাংলাদেশ, এটা মানতে মন চায় না। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে একই সাথে বাংলাদেশ আধুনিক পদ্ধতীতেও বিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে। সেখানে কেন এই আধুনিক যুগে সেই অতি পুরানো সময়ের প্রথা কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প নেয়া হয়েছে তাও আবার বিশ্বের বিখ্যাত বন সুন্দর বনকে বিপদের মুখে ফেলে এটা একটা বিরাট প্রশ্ন নয় কি?? অবশ্য এটা নিয়ে প্রচুর লিখা লিখি হয়েছে যে সুন্দর বন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার এই দুইটা বাংলাদেশের একটা ঐতিহ্য সেটা এই প্রকল্পের কারনে ভারতের ঐতিহ্য হিসাবে প্রমাণিত করার জন্যেই এই প্রকল্পের একটা প্রয়াস বলে বিজ্ঞ জনেরা বলে আসছিলেন। এখন বিষয়টা নিয়ে একটু ভালভাবে গবেষণা করলেই আমরা দেখতে পাব ইফতেখারুজ্জামান সাহেব ভারত ও চীনকে দায়ী করেছেন যেটা নাকি খুবই সত্য কথা। ইফতেখারুজ্জামান সাহেব বিএনপি দলের একজন ধামাধরা লোক বলে পরিচিত এবং তিনি সবসময়ই সরকারের বিপক্ষে সত্য মিথ্যা বলে বেড়ান যে জন্যে ওনার ভাল কথাও এখন শুনতে নারাজ এটাও সত্য কথা। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে সত্য বলা ও সততার সাথে চলার ক্ষমতা প্রদান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিআইবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ