Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লালপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে চরাঞ্চলে ফসল হানির শঙ্কা!

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৩:০০ পিএম

নাটোরের লালপুর উপজেলার পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে নওসারা সুলতানপুর, দিয়াড়শঙ্করপুর, চাকলা বিনোদপুর, আরাজি বাকনাই, রসুলপুর, বাকনাই, বন্দোবস্তগোবিন্দপুর ও লালপুর চরের প্রায় ১৬৭ বিঘা জমিতে চাষকরা শীতকালীন আগাম সবজি ক্ষেতসহ প্রায় এক হাজার একর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চর এলাকার কৃষকরা ।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, গত কয়েকদিনে পদ্মানদীর পানি বৃদ্ধিতে জেগে উঠা ৭টি চরের মোট ২২.২৫ হেক্টর জমিতে আগম চাষ করা মূলা, পুইশাক, লালশাক, বেগুন, লাউ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়াও চরের প্রায় ৫৫০ হেক্টক আখ ক্ষেতে পানি প্রবেশ করেছে।
রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের আকস্মিক পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার পদ্মায় জেগে উঠা ৭টি চরে আগাম সবজি ক্ষেত গুলি তলিয়ে গেছে এছাড়াও আখ ক্ষেত গুলিতেও প্রবেশ করেছে পানি। এছাড়াও পদ্মা চরের বেশ কিছু বাড়ি ঘরেও পানি উঠেছে।
এসময় কথা হয় বিলমাড়িয়া এলাকার মূলা চাষী জুয়েল আলীর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পদ্মার পানিতে তার ৪ বিঘা জমির মূল তালিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।’ ঐ এলাকার মূলা চাষী রফিকুল ও সেকেন্দার বলেন,‘ অনেক টাকা খরচ করে তার ৪ বিঘা জমিতে আগম মূল চাষ করেছিলাম, পদ্মার পানিতে সব নষ্ট হয়েগেছে এখন পরিবার নিয়ে বিপদে আছি।’
নওসারা সুলতানপুরের কৃষক আবজাল জানান, ‘পদ্মার পনি তার ২৭ বিঘা আখের জমিতে ঢুকেছে, পানি দ্রুত নেমে না গেলে সুগার মিলে আখ দেওয়া যাবেনা।’
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, ‘এখানকার ৫-৭ টি চরে আবাদ করেই এই এলাকার মানুষেরা তাদের জীবনজিবিকা নির্বাহ করে থাকে। পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে জমি গুলি তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।’
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চর এলাকার কৃষকরা এবছর আগাম শীতকালীন ফসল চাষ করায় গত ৫-৭দিনে পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে প্রায় ২২.২৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত তলিয়ে সবজি নষ্ট হয়েছে। তবে কিছু আখ ক্ষেতে পানি ডুকলেও পানি নেমে গেলে তা স্বাভিক হয়ে যাবে এছাড়াও পানি নেমে যাওয়ার পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিক ভাবে বলা যাবে বলে তিনি জানান।’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ‘পদ্মার আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে চর এলাকার ২২.২৫ হেক্টর জমির শীতকালিন সবজি ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষি অফিসের মাধ্যমে রিপোর্ট দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারী সহযোগিতার জন্য চেষ্টা করছি।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ