ভাড়া না থাকায় বাস থেকে ছুড়ে ফেলল প্রতিবন্ধী নারীকে
ভাড়া দিতে না পারায় বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে বাক্প্রতিবন্ধী এক নারী যাত্রীকে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। গত রোববার কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর বাজার এলাকায় সংঘটিত এ ঘটনার
একের পর এক রহস্য বের হয়ে আসছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ডের ।
বুধবার ফেসবুকে আবরারের এক বন্ধু একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল করেন। ওই স্ট্যাটাসে দাবি করা হচ্ছে, ঘটনার আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আইন সম্পাদক অমিত সাহা ওই বন্ধুকে মেসেঞ্জারে জিজ্ঞাসা করেন আবরার কি হলে আছে কি না। তখন তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। তবে ভয়ে ওই শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ করেনি।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে কথা হয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তের অংশ হিসেবে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
‘অপেক্ষা করুন। দেখবেন ঘটনার সঙ্গে যারা প্রকৃতঅর্থেই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয় আবরারকে। তার মোবাইল নিয়ে ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার চেক করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
এ সময় সেখানে বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহাসহ অন্যরা ছিলেন। তবে মামলায় অমিতের নাম আসেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।