Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও যুগোপযোগী আধুনিক হয়ে উঠবে -বগুড়ায় সেনা প্রধান

রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণে সেনা সদস্যের সম্পৃক্ততা মিললে কঠোর ব্যবস্থা

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ১:২৮ পিএম | আপডেট : ২:১৫ পিএম, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে যদি সেনা সদস্যদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে তাহলে অভিযুক্তরা চাকুরিচ্যুত তো হবে এবং তাদের সিভিল কারাগারেও পাঠানো হবে। সেনাবাহিনী বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্দ পরিচালনা এবং সবকিছু খতিয়ে দেখছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিতদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সবগুলো ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনা প্রধান আজিজ আহম্মেদ পিএসসি ।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসের ষষ্ঠ সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠাণে প্রধাণ অতিথি হিসেবে অংশ নেয়ার পর সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে কথা বলার সময় বিভিন্ প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
সেনা প্রধান বলেন, সেনাবাহিনীতে অস্বচ্ছতার কোনো সুযোগ নেই। ধর্ষণের ঘটনাস্থলে শুধু সেনা টহলই ছিলো না, অন্যান্য বাহিনীর টহলদলও ছিলো। কিন্তু আমরা অভিযোগ ওঠার পরই টহলরত সেনাসদস্যদের ক্লোজড করেছি। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে তদšত আদালতও গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যদি কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাকে দৃষ্টাষ্ঠ মূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ ঠেকাতে এবং ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে খুব দ্রুত ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী বলেও জানান তিনি।
এর আগে বৃহষ্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসে আর্মার্ড কোর সেন্টার স্কুলে ৬ষ্ট সাঁজোয়া কোর এর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ পিএসসি ৬ষ্ট সাঁজোয়া কোর পুনর্মিলণী পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহন করেণ।
সেখানে তিনি সমাগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী স্বাধীনতার রুপকার,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, সাঁজোয়া কোরের সদস্যরা ‘জান দেব মান দেবনা’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত। এই কোরের সদস্যরা দেশের যে কোন দুর্যোগময় মুহুর্তে ও জাতি সংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সাথে অংশগ্রহন করছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই কোরের সদস্যদের অংশগ্রহন এক গৌরবোজ্জল ইতিহাস।
তিনি বলেন ,বর্তমান সরকার সাঁজোয়া কোরে অত্যাধুনিক যুদ্ধযান ট্যাংক এমবিটি ২০০০ ও রিকোভারি যান সংযোজন করেছে। এছাড়াও ১৬ ক্যাভেলরী ও ২৬ হর্স নামে আরো ২টি রেজিমেন্টও প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি তার বক্তব্যে আশা ব্যক্ত করে বলেন , প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও যুগোপযোগি আধুনিক হয়ে উঠবে ।
অনুষ্ঠানে উর্দ্ধতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ সহ আর্মার্ড কোরের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকুরিরত কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ