Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রতি বছর বিশ্বে আড়াই কোটি, দেশে ৬ লাখ মানুষের প্যালিয়েটিভ সেবা প্রয়োজন

জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:১৮ পিএম

বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবনের শেষ দিনগুলিতে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজন হয়। সারা বিশ্বের এই চাহিদার ১০ শতাংশেরও কম পূরণ করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশে বছরের যে কোনো সময় প্রায় ৬ লাখ মানুষের প্রশমন সেবার প্রয়োজন। ইকোনমিস্ট জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রাপ্যতার বিচারে পৃথিবীর ৮০টি দেশের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৯তম। সারা দেশে বিক্ষিপ্ত ভাবে মাত্র অল্প কিছু স্থানে এই সেবার প্রচলন আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুবন্ধ ৬৭.১৯ তে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্তকরণের সুপারিশ করা হয়েছে যার অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৩.৮ এ উল্লি­খিত সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিধি (ইউএইচসি) অর্জনের অন্যতম প্রধান অংশ এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার। বৃহষ্পতিবার (১০ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী শনিবার বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবসকে সামনে রেখে ডা. মিল্টন হলে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউ ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। এ বছর বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘আমার যতœ, আমার অধিকার’। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ার ২০০৮ সাল থেকে এ সেবা প্রদান করে আসছে। বহিঃর্বিভাগ, অন্তঃবিভাগ, দিবা সেবা, লিম্ফিডিমা কেয়ার, রেজিস্টার্ড রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা টেলিফোন সার্ভিস, হোম কেয়ার সেবা ছাড়াও করাইল এবং নারায়ণগঞ্জে কমিউনিটি লেভেলে জনসাধারণের মাঝে এই সেবা প্রদান করে। ডাক্তার, নার্স, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সহকারী (পিসিএ), স্বেচ্ছাসেবক এর পাশাপাশি রোগীর পরিবার বা পরিচর্যাকারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে এই সেন্টার।

সার্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা (ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ)-এর প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থানের অঙ্গীকারকে সম্মান জানিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে (প্রশমন সেবা) অন্তর্ভুক্তকরণের দাবী করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রো-ভিসি ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, মেডিসিন অনুষদের ডীন ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার, রেজিস্ট্রার ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ, লেখিকা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শারমিন লাকি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, প্যালিয়েটিভ সেবা হলো সত্যিকার অর্থেই একটি মহতী সেবা কার্যক্রম। এটা হলো নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত, প্রান্তিক সময়ের মানুষ ও পরিবারের ভোগান্তি কমানোর একটি বিজ্ঞান সম্মত প্রচেষ্টা। নিরাময় অযোগ্য জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী মানুষ যথাযথ চিকিৎসাসেবা এবং পরিচর্যা পাওয়ার অধিকার রাখে। এ দিবসে গণমাধ্যম জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এদিকে এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৯ উদযাপিত হয়েছে। এছাড়াও স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ