Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইয়াবা আসছেই!

দেড় বছরে বন্দুকযুদ্ধে ৪৪ রোহিঙ্গাসহ নিহত ১৬৩ কারবারি

বিশেষ সংবাবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান থামেনি এখনো। এ অভিযান শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৫ মে থেকে। গত দেড় বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ইয়াবা ডন খ্যাত হাজী সাইফুলসহ ১৬৩ ইয়াবা কারবারি। এর মধ্যে ৩ নারীসহ ৪৪ জন রোহিঙ্গাও রয়েছে। 

অভিযানে আত্মসমর্পণ করেছে ইয়াবা গডফাদার (সাবেক এমপি) বদির ভাই ইয়াবা ডন আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল আমিনসহ ১০২ ইয়াবা গডফাদার। এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বদির অপর ভাই ইয়াবা ডন কাউন্সিলর মুজিব, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফরসহ শত শত ইয়াবা কারবারি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মতে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ভেঙে পড়েছে ইয়াবা সিন্ডিকেট।
কিন্তু তবু কেন বন্ধ হচ্ছেনা ইয়াবা পাচার! গত একমাসে সীমান্তে প্রায় একশ’ কোটি টাকার ইয়াবা ধরা পড়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে কি পরিমাণ ইয়াবা চালান সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকে পড়ছে তার কোন হিসেব নেই।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান জানান, ৬ অক্টোবর রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টেকনাফ বিওপির বিশেষ টহল দল মিয়ানমার হতে ইয়াবা চালান আসার সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবার এই বড় চালান উদ্ধার করে।
এর মধ্যে গত ২৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফের সেন্টমার্টিন বিওপি পরিদর্শনে আসেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্ত নিরাপত্তাসহ এ এলাকায় বিজিবি মাদক চোরাচালান এবং বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনাও দেন। কিন্তু ওইদিন রাতেই কোস্টগার্ড সদস্যরা টেকনাফের বড় হাবিবপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ইয়াবাসহ তৈয়ব নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান এ প্রসঙ্গে বলেন, বিজিবি সীমান্ত পাহারায় সক্রিয় রয়েছে। তবে প্রায় ৬০ কি.মি. দীর্ঘ সীমান্তে ২৪ ঘন্টাতো আর পাহারায় থাকতে পারেনা। মাদক কারবারি ও পাচারকারিরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইয়াবা পাচার করে থাকে। তিনি আরো বলেন আত্মসমর্পণ করা গডফাদারদের থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের লিংকে এখনো অনেকেই এ কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা দরকার।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের এডিশনাল এসপি ইকবাল হোসেন বলেন, মাদক নির্ম‚লে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সর্বস্তরের মানুষের সামাজিক আন্দোলন ছাড়া সমাজ থেকে মাদক নির্ম‚ল সম্ভব নয়।
কিন্তু তারপরেও কেন বন্ধ হচ্ছেনা ইয়াবা পাচার এটি এখন ভাবার বিষয়। সচেতন মহলের প্রশ্ন নাকি সরষের মাঝেই রয়েছে ভ‚ত!



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ