পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে দ্রুততম সময়ে চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হত্যাকান্ডের কারণ ও উদ্দেশ্য অনুসন্ধ্যান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের সবাইকেও ধরা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর কোনো তথ্য থাকুক বা না থাকুক প্রতিটি ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালানো হবে। আশা করি খুব স্বল্প সময়ে এ মামলার পূর্ণাঙ্গ চর্জশিট দিতে পারবো। চার্জশিটটি নিখুঁত, নির্ভুল করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। অমিত সাহাকে গ্রেফতার করা হলেও তার তার নামে মামলা হয়নি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অমিত সাহাকে সে মুহূর্তে পায়নি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে জানায়- পূজার ছুটিতে বাইরে গিয়েছিল। তবে যেভাবেই হোক তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারে আবরারের বাবা কিছু নাম দিয়ে মামলা করেছিলেন। সেই নামের বাইরেও কিন্তু অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, অমিত সাহা কে সেটি ধর্তব্য নয়, সে অপরাধী কিনা সেটি মূল বিবেচ্য। কেউ অপরাধী হলেই আমরা তাকে ধরছি। যারাই আইন হাতে তুলে নিয়েছেন বা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন তাকেই আমরা চিহ্নিত করে ধরছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা যথার্থই বলেছেন, এরকম বেশি দেখা যায় বুয়েটে। জাহাঙ্গীরনগরে কিছুটা হয়। ঢাবির বিষেয় এ ধরনের কোনো তথ্য আসেনি। ছাত্র নেতৃত্ব ও বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কালচারটি নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। কিশোর গ্যাং বন্ধে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং আমরা প্রায়শই আটক করছি। এজন্য রাতে অভিভাবকদের ডেকে বলছি- তাদের ছেলে মেয়েরা কী করছে তা যেন দেখেন। তারা মুচলেকা দিয়ে ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। কিশোর গ্যাং আইন রয়েছে, সেখানে একটা বয়স পর্যন্ত কিছু করতে পারি না। একইসঙ্গে যারা আইন ভাঙেন তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেই। শুদ্ধি অভিযান চলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বলেছেন। উনি চাচ্ছেন সুশাসন। আমাদের চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।