পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) গঠনের বিধিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৫৭৭তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্যই এ ফান্ড গঠন হবে।
জানা গেছে, ইটিএফকে কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম হিসেবে চালুর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) রুলস ২০১৬ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত ৫৭৪তম সভায় এ ফান্ডের খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল বিএসইসি। বিএসইসি জানিয়েছে, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বেমেয়াদি হিসেবে গঠিত হলেও স্টক এক্সচেঞ্জে এটি তালিকাভুক্ত হবে। তহবিলের ন্যূনতম আকার হবে ৫০ কোটি টাকা। তবে অনুমোদিত অংশগ্রহণকারীর মাধ্যমে ক্রিয়েশন ও রিডেম্পশন দ্বারা ফান্ডের আকার পরিবর্তন করা যাবে। যেহেতু ফান্ডটি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে তাই ফান্ডের এনএভি (ইউনিট প্রতি সম্পদ) ও বাজার মূল্যের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হলে অনুমোদিত অংশগ্রহণকারীরা এ বিষয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করবে। এছাড়া এ তহবিলের ক্ষেত্রে স্টক ব্রোকার/স্টক ডিলারদের যারা অনুমোদিত অংশগ্রহণকারী হিসেবে কাজ করবেন তারা মার্কেট মেকারের ভূমিকাও পালন করবেন। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড মূলত ইনডেক্সভিত্তিক ফান্ড যা সাধারণ সূচক বা শরীয়াহ সূচকভিত্তিক হতে পারে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইউনিট বিক্রি করে মূলত এ তহবিল গঠন করা হবে। তবে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ তহবিল গঠিত না হলে কমিশনের অনুমোদনক্রমে পাবলিক অফারের মাধ্যমেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
জানা গেছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো স্টক এক্সচেঞ্জের নির্দিষ্ট সূচক, সূচকভুক্ত কোম্পানি কিংবা নির্দিষ্ট খাতের শেয়ারে বিনিয়োগের লক্ষ্যে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড চালু করতে প্রায় দেড় বছর ধরে যৌথভাবে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলো। বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার আওতায় বিশেষ ধরনের এ সামষ্টিক তহবিল চালু বা পরিচালনা সম্ভব না হওয়ায় আলাদা বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।