Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চার্জশিট দিচ্ছে দুদক!

ডিআইজি মিজান-বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা : অনেক প্রশ্ন অনিষ্পন্ন

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

‘ঘুষ’ লেনদেনের আলামত হিসেবে কোনো অর্থ জব্দ করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি ঘুষ সংক্রান্ত কথোপকথনে উঠে আসা কল ব্যক্তিকে। টানা হয়নি ঘটনার আগে-পরে নানা ভূমিকায় থাকা ব্যক্তিদের প্রসঙ্গও। অডিও রেকর্ড থেকে মামলার উৎপত্তি। অথচ মামলাটি প্রমাণে প্রয়োজন ১৮৭২ সালের এভিডেন্স অ্যাক্টের সংশোধনী। অডিও ক্লিপ আমলে নেয়া হবে কি না তা নির্ভর করছে আদালতের ওপর। দুদক কর্মকর্তা আর ডিআইজি মিজানের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ মামলার ওপর এমনই এক ‘গোঁজামিল’র প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো ‘তদন্তাধীন’ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। যদিও আইনজ্ঞদের মতে, দুর্বল তদন্ত প্রতিবেদনের কারণে অনেক সময় স্বার্থান্বেষী পক্ষ কিংবা আসামিপক্ষ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।

দুদকের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা জানান, সংস্থার পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির এবং পুলিশের তৎকালীন ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ মামলাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানটির জন্য এ ধরনের মামলার তদন্ত পরীক্ষামূলকও বটে। কারণ, এখানে দুদক মামলাটির বাদী, দুদকের কর্মকর্তাই বিবাদী এবং তদন্তও করছে দুদক স্বয়ং। তাই মামলাটির তদন্তে কি বেরিয়ে আসে- বিশ্লেষক মহলের কাছে এটি দেখার বিষয়। মামলাটিতে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির মর্যাদা, গ্রহণযোগ্য এবং পেশাদারিত্বের প্রশ্ন জড়িত। নিজস্ব তফসিলভুক্ত হওয়ার কারণে মামলাটির তদন্তের ভার অন্য কোনো সংস্থার ওপর ঠেলে দেয়ার সুযোগও দুদকের নেই। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনে এ ধরনের মামলা এটিই প্রথম। দুদকের জন্য এটি ‘টেস্টকেস’।

দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছর ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এজাহারে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুর বাছির (যিনি ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ওঠা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছিলেন) এবং পুলিশের তৎকালীন ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানের ঘুষ আদান-প্রদানের অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে দন্ডবিধির ১৬২, ১৬৫ (ক) এবং ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে ডিআইজি মিজানুর রহমান এবং খন্দকার এনামুল বাছিরের মধ্যে ঘুষ লেনদেন হয়েছে মর্মে অডিও টেপের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারের বিবরণ মতে, মামলা থেকে বাঁচতে ডিআইজি মিজান প্রথম দফায় ২৫ লাখ, দ্বিতীয় দফা ১৫ লাখ টাকা রমনা পার্কে গিয়ে এনামুল বাছিরের হাতে ঘুষ হিসেবে তুলে দেন, যা ডিআইজি মিজানের টেলিফোন কথোপকথনে বেরিয়ে আসে। অনুসন্ধানে দুদক টিমের কাছেও তিনি এটি স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, দুদক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে দেখিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, দুদক কতটা ভালো কাজ করে। মিজান কেন এই অসততার আশ্রয় নিয়েছেন-দুদক টিমের এমন প্রশ্নে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেননি। পক্ষান্তরে খন্দকার এনামুল বাছির ঘুষ নেয়ার কথা স্বীকার করেননি। তার কাছ থেকে ঘুষের কোনো অর্থও উদ্ধার করা হয়নি। ঘুষ নিয়ে থাকলে ঘুষের অর্থ কোথায়, কোন ব্যাংকে কিংবা কার কাছে রেখেছেন তদন্ত কর্মকর্তা সেটিও বের করতে পারেননি। মামলায় এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায়ও (ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজে লাভবান হওয়া) অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু তিনি ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কমিশনে মামলার সুপারিশ করেছেন, যা ছিল তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব। তিনি সেই দায়িত্ব পালনও করেছেন। তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ শেষতক কতটা টেকসই হবে?

ঢাকা বারের আইনজীবী মো. জয়নুল আবেদীন চৌধুরী বলেন, যেনতেন প্রকারে প্রতিবেদন দাখিল কিংবা তদন্তে ত্রæটি থাকলে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিরা এর সুবিধা নিতে পারেন। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেও অনেক সময় কৌশল হিসেবে আমাদের তদন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ত্রæটিপূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রেও সেরকম কিছু ঘটছে কি না নিশ্চয়ই দেখার বিষয়।

এদিকে আদালত সূত্র জানায়, দুদক পরিচালক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) খন্দকার এনামুল বাছির এবং পুলিশের ডিআইজি (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ মামলা প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য রয়েছে আগামী ১১ নভেম্বর। ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এ লক্ষ্যে মামলার প্রতিবেদন প্রণয়ন করছেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। প্রতিবেদন কি পর্যায়ে রয়েছে- জানতে চাইলে তিনি কোনো ধরনের তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, যেনতেন প্রকারে একটি প্রতিবেদন দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক টিম। প্রতিবেদনে থাকছে তথ্যের ঘাটতি। যাতে এজাহারে উল্লেখিত ধারাসমূহ এবং অনেক প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। এজাহারে ৪০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘুষ গ্রহণের জন্য শুধু অভিযোগ আনা হয়েছে খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে। ঘুষ প্রদান এবং গ্রহণ সমাজে অপরাধ হলেও ঘুষ প্রদানকারী হিসেবে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পৃথক কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলায় দু’জনের বিরুদ্ধেই দন্ডবিধির ১৬২/১৬৫ (ক)/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ডিআইজি মিজানুর রহমান খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন- মর্মে অডিওটেপে দাবি করেন। মামলার আগে অভিযোগের অনুসন্ধান হয়। এ সময় কারাগেটে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক টিম। এর আগে ডিআইজি মিজানের অফিসের আর্দালি সুমন, দেহরক্ষী হৃদয় হাসান ও গাড়িচালক সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এনামুল বাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা না হলেও তার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নেয়া হয়। মামলার পর তাকে কারাগারে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদক টিমের অনুসন্ধানেই বেরিয়ে আসে ঘুষ লেনদেনের ক্ষেত্র তৈরি করেছে ‘তৃতীয়পক্ষ’। অনুসন্ধানকালেই এই ‘তৃতীয়পক্ষ’র কুশীলবদের প্রাসঙ্গিক কথোপকথন প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে দুদকের সাবেক পরিচালক আব্দুল আজিজ ভুইয়া, দুদক কর্মকর্তা ইকবাল শফিক, নাসিম, জায়েদ ও পাটোয়ারীর নাম আসে। তাদের সাক্ষ্যও নেয়া হয়। তবে আলোচ্য লেনদেনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটের জনৈক আব্দুল দয়াছ। তিনি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এ ঘনিষ্ঠতাকে পুঁজি করেই আব্দুল আজিজের সঙ্গে ডিআইজি মিজানের কথোপকথনে দয়াছের বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উঠে আসে। দুদক চেয়ারম্যান এবং দয়াছের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণস্বরূপ বেশ কিছু ফটো প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। যেসব দুদক কর্মকর্তার নাম আলোচনায় এসেছে তাদের অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অথচ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি আলোচিত আব্দুল দয়াছকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তদন্ত নতুন মোড় নিত বলে জানায় সূত্রটি।

তদন্তকালে ঘুষ আদান-প্রদানের বিষয়ে ডিআইজি মিজান এবং খন্দকার এনামুল বাছিরের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে সেটি ফরেনসিক টেস্টেও তাদের বলেই প্রমাণিত হয়েছে। এটি মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ আলামত। তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও ১৮৭২ সালের ‘সাক্ষ্য আইন’ এখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ আইনে অডিও রেকর্ড সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে পরিগণিত নয়। বিষয়টি দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ একাধিকবার স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেছেন, সাক্ষ্য আইন সংশোধন করা না হলে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে যেসব দুর্নীতি হচ্ছে, দুর্নীতির সেসব মামলা পরিচালনা করতে কমিশনকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই দুদক দুর্নীতি দমনে বিচারিক কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক রেকর্ডকে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনকে যুগোপযোগী করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে। ডিআইজি মিজান-এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ মামলাটির উৎপত্তি একটি অডিও রেকর্ড থেকে। সাক্ষ্য আইন সংশোধন এখনো সংশোধন হয়নি। তাই কথোপকথনের অডিও রেকর্ড আলামত হিসেবে আদালত আমলে নাও নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে গোঁজামিলের তদন্ত প্রতিবেদন মামলাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, অডিও রেকর্ডটি তার নিজের নয়- মর্মে বরাবর দাবি করে আসছেন কথিত ‘ঘুষ গ্রহীতা’ খন্দকার এনামুল বাছির। অন্যদিকে ডিআইজি মিজান নিজেই স্বীকার করেছেন, দুদক কর্মকর্তাকে ধরার জন্য তিনি ফাঁদ পেতেছিলেন। সে ক্ষেত্রে ৪০ লাখ টাকা লেনদেন আদৌ হয়েছে কি না সেই প্রশ্ন উঠছে। যুক্তির খাতিরে যদি ধরেই নেয়া হয় যে, টাকা লেনদেন হয়েছে- সেটি প্রমাণ করতে আলামত লাগবে। আলামত উদ্ধার করতে হবে। এনামুল বাছিরের কাছ থেকে কোনো অর্থ উদ্ধার হয়েছে কি? ঘুষের টাকা উদ্ধার হলে টাকাগুলো এখন কোথায়? তদন্ত প্রতিবেদনে এ প্রশ্নের কোনো জবাব নেই বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় মামলাটির বিচারে কি পরিণতি হতে পারে জানতে চাওয়া হয় দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খানের কাছে। তিনি বলেন, প্যানাল কোডের ১৬২ ধারা এবং ১৬৫ (ক) ধারায় ঘুষের টাকা লেনদেনের প্রমাণ থাকতে হবে। উদ্ধারকৃত ঘুষের টাকা ‘আলামত’ হিসেবে থাকতে হবে। সেটি না থাকলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন তাহলেও আদালত ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সাজা দিতে পারবেন। ঘুষ গ্রহণের মামলায় ঘুষ প্রদানের বিচার হতে পারে কি না- জানতে চাওয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী মনজিল মোরশেদের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ঘুষ প্রদান এবং গ্রহণ দু’টিই অপরাধ। যদি ঘুষ প্রদানকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হতে হবে। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো মামলা হয়েছে বলে জানি না। তিনি যদি ঘুষ প্রদানের ফাঁদও পেতে থাকেন সেটিও তাকে প্রমাণ করতে হবে। আদালত সেটি বিবেচনা করবেন তাকে সাজা দেবেন কি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুদক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ