Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

তুরস্কের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে এরদোগানকে টেলিফোন ট্রাম্পের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযানের জেরে দেশটির দুইজন মন্ত্রী এবং তিনজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া অঞ্চলটিতে দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে। ক্রমেই এটি আরও কঠোর হতে থাকবে; যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করবে, সংঘাত বন্ধ না করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি কোনও শান্তিচুক্তিতে না আসবে। যত দ্রুত সম্ভব অঞ্চলটি পরিদর্শনের কথাও জানিয়েছেন মাইক পেন্স। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী। এটি তুরস্কের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুর্কি সরকারের কর্মকান্ডে সিরিয়ার ওই অঞ্চলের নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। আবার একইসঙ্গে এটি আইএস-কে পরাজিত করার গৌরবকেও ম্লান করে দিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আইএস-এর কথিত খিলাফতকে শতভাগ পরাজিত করার পর আমি সিরিয়া থেকে মোটাদাগে আমাদের বাহিনী সরিয়ে নিয়েছি। সিরিয়া ও আসাদকে কুর্দিদের রক্ষা করতে দিন। তুরস্ককে তার নিজ ভূখন্ডের জন্য লড়াই করতে দিন। আমার জেনারেলদের আমি বলেছি, কেন আমরা শত্রু ভূখন্ড সিরিয়া ও আসাদের জন্য লড়াই করছি? যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে, মূলত কংগ্রেসে নিজ দলের সদস্যদের সমালোচনার মুখেই তুরস্কের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয় সেনারা মানবিজ শহরে প্রবেশ করেছে। এছাড়া দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলোতে দ্রুত সিরিয় সৈন্যরা ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। ফলে এখন হয়ত দ্রুতই তুরস্কের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাবে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে চুক্তির প্রেক্ষাপটেই সিরিয় সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটলো, যে কুর্দি বাহিনী গত সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল মার্কিন মিত্র বাহিনী। ওয়াশিংটনে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন নুচিন সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী এবং তা তুরস্কের অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, ্রতুরস্কের সরকারের কর্মকান্ডে সিরিয়ার ঐ অঞ্চলের নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। আবার সেই সঙ্গে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার গৌরবকেও ম্লান করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে এবং ক্রমে আরো কঠোর হতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করবে, সংঘাত বন্ধ না করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কোন শান্তিচুক্তিতে না আসবে। এর আগে সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নেতারা তুরস্কে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার ব্যপারে একমত হয়েছেন। জবাবে তুরস্ক বলেছে, বেআইনি এবং পক্ষপাতম‚লক› আচরণের জন্য ইইউ এর সাথে নিজেদের সম্পর্ক পুনঃম‚ল্যায়ন করবে দেশটি। বিবিসি, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ