পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপত্তার শঙ্কায় শেষ পর্যন্ত ঢাকা থেকে চলেই গেল বুয়েটে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী তার প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেল নিজ এলাকার প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। ফাইয়াজের ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া চলে যাওয়ার বিষয়ে তার বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, দুই ছেলের একজন আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। ওকে দেখে-শুনে আগলে রাখার জন্য বড় ভাই (আবরার ফাহাদ) ছিল। সে-ই যখন চরম নৃংশসতার শিকার হলো, সেখানে আর কার ভরসায় ওকে (ফাইয়াজ) ঢাকায় রাখবো?
গতকাল মঙ্গলবার ফাইয়াজ বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্রের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হারুন-অর রশিদ বলেন, তার আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড ছাড়পত্র অনুমোদন করেছে। বিশেষ ব্যবস্থায় আবেদন করলে এদিনই তার আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদির জানান, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে তাকে ভর্তির জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন অপেক্ষায় আছি ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্রের কপি হাতে পেলেই ফাইয়াজের ভর্তির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হবে।
ফাইয়াজের বাবা রবকত উল্লাহ বলেন, দুই ছেলের একজন আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। এই অবস্থায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাজনিত অজানা শঙ্কা মাথায় নিয়ে জীবন-যাপন আরও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে ফাইয়াজের মা রোকেয়া খাতুনের একাকিত্ব। সব বিষয়ই ভেবে, ওর মা এবং পরিবারের অন্য স্বজনদের ইচ্ছায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।