Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুখোমুখি অবস্থানে শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলনরত দেশের ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক গত ১৪ অক্টোবর দুইঘণ্টা এবং ১৫ অক্টোবর তিনঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। ওই ধারাবাহিতায় গতকাল বুধবার তারা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। এমনকি আজ বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন ও ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচির ঘোষণা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। ‘বেতন বৈষম্য নিরসন প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্তে¡ও শিক্ষকরা কেন কর্ম বিরতিতে যাচ্ছে?’- এমন প্রশ্ন রেখে গত ১৩ অক্টোবর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ডিপিই’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠি এরই মধ্যে বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওই আদেশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। এ পর্যায়ে দাবি আদায়ের কোনো কর্মসূচি পালিত হলে তা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অধিকন্তু সরকারি কর্মচারীরা এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা বা অংশগ্রহণ করা সরকারি শৃঙ্খলা বা আপিল বিধিমালা-২০১৮ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

চিঠিতে অধিদফতরের বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, এ ধরনের কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্নিষ্ট শিক্ষকদের চিহ্নিত করে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জানা গেছে, বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান বলেন, বেতন বৈষম্য নিরসনের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেলে আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা। সে সময়ের প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের এই দাবি একমাসের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের বেতন বৈষম্য নিরসন হয়নি।
উল্লেখ্য বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন লাখ ২৫ হাজার সহকারী শিক্ষক ও ৪২ হাজার প্রধান শিক্ষক রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ