Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘোড়ায় চড়ে ‘পুণ্যশিখরে’ কিম, বাড়ছে উদ্বেগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৩৫ পিএম

ঘোড়া ছোটাচ্ছেন কিম জং উন। বরফে ঢাকা পাহাড়ি পথে একাই দুধ-সাদা ঘোড়া ছুটিয়ে যাচ্ছেন। শক্ত হাতে লাগাম ধরে কখনও গম্ভীর, তো কখনও হাসিমুখে পোজ় দিচ্ছেন ক্যামেরায়। না, কোনও সিনেমা কিংবা তথ্যচিত্রের শুটিং নয়। কিম রাজত্বের ‘পুণ্যভূমি’ হিসেবে পরিচিত কোরিয়ার সর্বোচ্চ পেকটু পর্বতে সম্প্রতি এ ভাবেই খানিক ঘোড়সওয়ারি করতে দেখা গিয়েছে উত্তর কোরিয়ার দাপুটে শাসককে। আজ বৃহষ্পতিবার সেই ছবি প্রকাশ করল পিয়ংইয়্যাংয়ের সরকারি প্রচারমাধ্যম।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ‘খুশির খবর। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে শীঘ্রই বড়সড় একটা অভিযান দেখবে সমগ্র দুনিয়া। আরও কয়েক ধাপ এগোবে কোরিয়ার বিপ্লবও।’ তবে কি হতে পারে সেই ‘গ্রেট অপারেশন’ সে বিষয়ে কোন তথ্য জানায়নি পিয়ংইয়ং। এ বিষয়ে ক্যালিফর্নিয়া থেকে উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ জশুয়া পোলাক বলেন, ‘এটা কিমের প্রকাশ্য অবাধ্যতারই ইঙ্গিত।’

ধূসর লংকোট আর রাইডিং বুট পরে ঘোড়ায় সওয়ার কিম। চোখেমুখে আত্মবিশ্বাসের ছাপ। বড়সড় কোনও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার আগে বা পরে পেকটুর ‘পুণ্যশিখরে’ আগেও যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে কিমকে। ২০১৭ সালে সবচেয়ে বড় আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক দিন পরেই যেমন গিয়েছিলেন। কূটনীতিকেরাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সেই পর্বত-সফরের কয়েক সপ্তাহ পরে নববর্ষের বক্তৃতায় সম্পর্কের বরফ গলাতে কিম প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়াকে।

গত বছর আবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন-কে সঙ্গে নিয়েই পাহাড়ে উঠেছিলেন কিম। তার পর থেকে মোটামুটি সব শান্ত। কিন্তু মাঝখানে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের। কিম নিজেই জানিয়েছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তোলা নিয়ে বড় জোর এ বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। তার পর? সাম্প্রতিক পেকটু-সফরের পরে আবার কী নতুন চমক দেবেন কিম, তা নিয়ে জল্পনা ছড়াচ্ছে। নিশানায় কি এ বার আমেরিকাই!

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজনৈতিক কিছু নয়, কিম এ বার হয়তো অর্থনৈতিক কোনও পদক্ষেপ করতে চলেছেন। উত্তর কোরিয়াকে অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত ভাবে আরও বেশি সমৃদ্ধ প্রমাণ করতে এ বার তিনি মহাকাশ অভিযানে নামতে পারেন বলেও মনে করছেন অনেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কিম

১৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ