Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে সাঁতারের জাপানি কোচের পদত্যাগ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:২৩ পিএম

মিরপুরস্থ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে ঘটা অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরেই জাতীয় সাঁতার দলের জাপানি কোচ তাকেও ইনোকি পদত্যাগ করেছেন। গত রোববার বিকেলে ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেলেও ইনোকি তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন আসল ঘটনা। মূলত অনুশীলন ক্যাম্পে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে জুনিয়র সাঁতারুদের শাস্তি ভোগ করতে দেখেই তিনি জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন। জানা গেছে, রোববার ইনোকির অধীনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে অনুশীলন চলছিল সিনিয়র জাতীয় দলের। ওই সময় জুনিয়র জাতীয় দলও (ট্যালেন্ট হান্ট) অবস্থান করছিল পুলে। অনুশীলনের এক ফাকে জাতীয় দলের কোচ তাকেও ইনোকি দেখেন নিয়ম ভেঙে ক্যাম্পে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে জুনিয়র জাতীয় দলের স্থানীয় কোচ ও কর্মকর্তারা প্রচন্ড গরমের মধ্যে শারীরিক শাস্তি দিচ্ছেন সাঁতারুদের। শাস্তি ভোগের এক পর্যায়ে শরিফা আক্তার মিম নামের এক নারী সাঁতারু অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে যান। প্রায় ১০ মিনিটের মতো এই সাঁতারু রোদের মধ্যে একাই পড়েছিলেন সেখানে। এসময় ইনোকি দায়িত্বরত স্থানীয় কোচদের জিজ্ঞেস করেন, মেয়েটা ঠিক আছে কি না। তারা হাসতে হাসতে জানান, সে অভিনয় করছে, কিছুই হয়নি তার! তখন জাপানি কোচ তাদেরকে মিমের কাছে যেতে বলেন। জাতীয় দলের বিদেশী কোচের অনুরোধের পর স্থানীয় কোচরা মিমের সামনে গিয়ে ধরা-ধরি করে তাকে ছায়ায় নিয়ে যান। এই সময়ে ইনোকি বারবার অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে বললেও জুনিয়র কোচরা তার কথা শুনেননি। পরে ভ্যানে করে কোথায়ও নিয়ে যাওয়া হয় সাঁতারু মিমকে। এই ঘটনায় দারুণভাবে মর্মাহত হন কোচ ইনোকি। ফলে সেদিন বিকেলেই পদত্যাগ করে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ক্যাম্প েেছড়ে চলে যান ইনোকি। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ জানান, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চলে গেছেন জাপানি কোচ। তিনি বলেন,‘ইনোকি যাওয়ার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমরা তার সঙ্গে কথা বলার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চলে গেছে।’ সাইফ যোগ করেন,‘অনুশীলনের সময় সাঁতারুরা গোপনে মোবাইল রাখতো। যে কারণে ওদের শাস্তি দিয়েছিল স্থানীয় কোচরা। সেটা নিয়েই মূলত ইনোকি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।’

তবে জাপানি কোচ তাকেও ইনোকি বাংলাদেশ সাঁতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেই শুধু ক্ষান্ত হননি বিশ্ব সাঁতারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিনার কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে নিজের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন। এ ঘটনায় এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সাঁতার ফেডারেশন। যাদেরকে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন,‘এই ঘটনা জানার পর আমি সঙ্গে সঙ্গেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো। মিম এখন ক্যাম্পে আছে এবং ভালো আছে। তবে আমরা মনে করি বিষয়টি ইনোকি খুব বড় করে দেখেছেন। আমরা অনুশীলন ক্যাম্পে সাঁতারুদের মোবাইল রাখতে দেই না। কারণ, ওরা রাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ফলে সকালে ওদের অনুশীলনে সমস্যা হয়। এ কারণেই বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছিলাম আমরা। তবে স্থানীয় কোচরা সাঁতারুদের কি শাস্তি দিয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে আমি জানি না। যদি অমানবিক শাস্তি দিয়ে থাকে তাহলে এক রকম। আর যদি রুটিন শাস্তি হয় তাহলে আরেক রকম।’

মাত্র দু’মাসেরও কম সময় বাকি আছে নেপাল এসএ গেমসের। অথচ এরই মধ্যে ঘটে গেল সাঁতারে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা। যার জেরে কোচশূণ্য হয়ে পড়লো জাতীয় দল। ঘটনাটি ভাবিয়ে তুলেছে সাঁতারবোদ্ধাদের। তাদের বক্তব্য- এ কিসের আলামত?



 

Show all comments
  • Bobi cant ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:৩৯ পিএম says : 0
    Sueming leage of bd they are unsivilage barbarians.
    Total Reply(1) Reply
    • Bla ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৫১ এএম says : 4
      Apnar banan er ei durobostha keno? Banglai likhlei hoito!

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাঁতার


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ