Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আবিদ খুনিদের সাজা চায় পরিবার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্র আবিদুর রহমানের খুনিদের সাজা চায় তার পরিবারের সদস্যরা। এ হত্যাকা-ের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আট বছর আগে নিহত আবিদের পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে সন্তান হত্যার বিচায় চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবিদের মা সৈয়দুন্নেসা।

২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান আবিদকে ছাত্রলীগ কর্মীরা পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় আবিদুরের মামা নেয়ামত উল্লাহ চৌধুরী বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় চমেক ছাত্রলীগের ভিপি মফিজুর রহমান জুম্মান এবং জিএস হিমেল চাকমাসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সম্প্রতি ওই মামলায় ১১ আসামির সবাইকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আবিদের ভাই জিল্লুর রহমান বলেন, আবিদকে তারই সহপাঠী ও সিনিয়র ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা হকি স্টিক, লাঠি, স্ট্যাম্প ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। ছাত্র সংসদ নামের টর্চার সেলে আবিদের ওপর সন্ত্রাসীরা তিন-চার ঘণ্টা নির্যাতনের খবর পেয়েও কলেজ প্রশাসন আবিদকে বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, বুয়েটছাত্র আবরার হত্যার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ ও বুয়েট প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু আবিদ হত্যার পর চমেক প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। খুনিদের প্ররোচনায় এবং কলেজ প্রশাসনের ইন্ধনে ২০১২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়া চার্জশিটে আসামিদের মধ্যে ১০ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। ওই চার্জশিট দেওয়ার কোনো খবর মামলার বাদী পাননি বলেও দাবি করেন জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, বাদী খবর না পাওয়ায় এবং নারাজি না দেয়ায় ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ গঠন করা হয়। একবার আমার মামাকে (বাদী) আদালত এলাকা থেকে অপহরণের চেষ্টা করে আসামিদের লোকজন। এরপর থেকে উনি আর আদালতে যাননি।
ওই মামলায় চলতি বছরের ১৭ জুলাই দেওয়া রায়ে আদালত সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন বলে জানান জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ বিধায় উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি আমরা উচ্চ আদালতে আবিদ হত্যার ন্যায়বিচার পাব।

আবিদের বোন মোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, আবারারকে যেভাবে হত্যা করা হয় সেভাবে আবিদকেও হত্যা করা হয়। যদি আবিদ হত্যার বিচার হত তাহলে আবরার হত্যা হত না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন খুনি তো খুনিই, সব খুনির বিচার হবে। আমরা ভাইয়ের খুনের বিচার চাই। আবিদের আরেক ভাই মনসুরুল আহমেদ, বোন সাজেদা ইয়াসমিন, শাহেদা ইয়াসমিন ও ভগ্নিপতি সোহেলও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরিবার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ