Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গলাবাজি বন্ধে ইসলামাবাদের হুঁশিয়ারি

বিশেষ মর্যাদাই হারায়নি, কথা বলার আজাদিও হারিয়েছে কাশ্মীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভোটারদের মন গলাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনছেন সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। এক ইশতেহারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে সব ধরনের অভিযোগ ও হুমকি এবং ইতিহাস ও তথ্যের বিকৃতি প্রত্যাখ্যান করছি।’ এতে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো ছাড়া ভারতীয় ভোটারদের কাছে বিজেপি’র শাসকদের আর কিছু বিক্রি করার আছে কিনা সেই ভাবনা এখন সংশ্লিষ্ট সব মহলের। দেশীয় রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল ও নির্বাচনী প্রচারণায় উত্তেজনা তৈরি জন্য ইসলামাবাদকে ব্যবহার বন্ধ করতে বিজেপি’র প্রতি আহŸান জানায় পাকিস্তান। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচারে সহযোগিতা করছে বলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সা¤প্রতিক নির্বাচনী প্রচারণাগুলোতে বার বার অভিযোগ করার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ওই বিবৃতি দেয়। সাউথ এশিয়ান মনিটরের অপর এক খবরে বলা হয়, কাশ্মীর কেবল তার বিশেষ মর্যাদাই হারায়নি, কথা বলার আজাদিও হারিয়েছে। মুক্তি নিশ্চিত করতে শীর্ষ রাজনীতিবিদসহ বন্দীদের যে মুচলেকা দিতে বাধ্য করছে সরকার, তাতে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘সা¤প্রতিক ঘটনাবলী’র বিরুদ্ধে কথা বলা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে তাদের জন্য। সিনিয়র আইনজীবী ও অধিকারকর্মীরা এই মুচলেকাকে (ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের ১০৭ ধারার অধীনে সম্ভাব্য গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের কাছ থেকে নেয়া স্বীকারোক্তির একটি কৌশলী সংস্করণ) ‘অবৈধ’ ও অসংবিধানিক হিসেবে অভিহিত করেছেন। অবশ্য, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ডি সি রায়না (তিনি নতুন মুচলেকা দেখার কথা অস্বীকার করেছেন) সাফাই গেয়ে বলেছেন, এটি ‘পুরোপুরি’ বৈধ। তিনি বলেন, যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা আসলে গুণগত কোনো পরিবর্তন নয়, প্রকাশভঙ্গিতে পরিবর্তন। রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদসহ অনেক লোক এই মুচলেকায় সই করার পরই মুক্তি পেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ অনেকে এতে সই করতে অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। টেলিগ্রাফ ওই বন্ডের একটি কপি ও সেইসাথে একটি সই করা কপি, মুচলেকায় সই করা দুই নারীকে মুক্তি দিতে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশও হাতে পেয়েছে। এসএএম।



 

Show all comments
  • Ismail Hossain ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    সত্য কথা বলে মুসলমান সত্য পথে চলে মুসলমান। কাশ্মীরা সংকটের জন্য দায়ী কে, লাগামের বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে কে,অমানবিক আচরণ করছে কে, নিযন্ত্রণে কাজ করছে কে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mazharul Islam ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    মোদি একজন শৈরাচারি শাসক।
    Total Reply(0) Reply
  • মশিউর ইসলাম ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
    ভারতের গলাবাজি, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো আর চাপাবাজি করা ছাড়া আর কি সামর্থ আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ কাজী নুর আলম ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ২:০০ এএম says : 0
    মোদি কাশ্মীর ইস্যুকে পুজি করে ক্ষমতায় এসেছে, এটাকে পুজি করে ক্ষমতা স্থায়ী করার মিশনে নেমেচে।
    Total Reply(0) Reply
  • নীল আকাশ ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ২:০০ এএম says : 0
    কাশ্মিরে অবিলম্বে ভারতের বাহিনীর গণহত্যা, নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। পাকিস্তানকে দৃড় ভূমিকা রাখতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • কাজী হাফিজ ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ২:০১ এএম says : 0
    যে নিরীহ মুসলিমদের রক্তের ওপর ক্ষমতায় আসে সেই মোদি আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ