Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পঞ্চগড়ে ব্রিজ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্রিজ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর অনিয়মের কথা অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমরা নিয়ম মেনেই ব্রিজের কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৯টি, বোদা উপজেলায় ৭টি, আটোয়ারী উপজেলায় ৬টি, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১০ সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। ব্রিজগুলোর মাপ ২৫ থেকে ৪০ ফিট। এই ৩৯টি ব্রিজে ব্যয় হবে প্রায় ১০ কোটি টাকা। যা আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। কাজের শুরুটা ভাল হলেও মাঝামাঝি সময়ে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ব্রিজ নির্মাণে স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো কাজের মান অত্যন্ত ভালো বলে দাবি করেন। অভিযোগ রয়েছে, মূল ঠিকাদাররের নিকট থেকে হাত বদল হয়ে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। যেমন: পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ী ইউনিয়নের কালিখাপাড়া একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি ৪০ ফিট ব্রিজ। এর কাজের শুরুতে নানা অভিযোগ উঠেছে। সময় কম থাকায় যেনতেনভাবে নি¤œমানের  উপকরণ, সামগ্রী দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে দেবীগঞ্জ উপজেলার  চিলাহাটী ইউনিয়নের হাজিরহাট ইদগাহ এলাকায় ১টি, মিষ্টার মেম্বারের বাড়ির রাস্তায় ১টি, বসুনিয়াপাড়ায় ১টি এবং বোদা উপজেলার বেংহাড়ী ইউনিয়নের পড়াকামাত পাড়ায়, তেলী পাড়াসহ অত্র বেংহাড়ী ইউনিয়নে ৪টি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে দেবীগঞ্জ পিআইও মো. রোকনুজ্জামান বলেন, যখন কাজ হয় তখন বললে বিষয়টি দেখতাম। এখন কাজ শেষ হয়ে গেছে। তেতুঁলিয়া উপজেলার লোহাকাচীতে ১টি ব্রিজ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই লোহাকাচীর ব্রিজটি খালের গহ্বরে হওয়ায় কাজটি তাড়াহুড়ো করে শেষ করার চেষ্টা চলছে। টেপ্রীগঞ্জ ও চিলাহাটীতে উপজেলার বালি ক্রয় করে ব্রিজ নির্মাণের কথা থাকলেও খাল খনন করে ময়লা বালি উত্তোলন করে ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় অপরিষ্কার ইটের গুটি, বালি ও নন ব্যান্ডের নি¤œমানের রড। এসব অনিয়ম এলাকাবাসীর চোখে পড়ার পর কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করলে ঠিকদাররা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে তড়িঘড়ি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ব্রিজ নির্মাণের পর কত দিন টেকশই হবে তা এখন দেখার বিষয়। এছাড়া আর কি বলার আছে। তারপরও যদি মন্ত্রণালয় থেকে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে তদন্ত করেন তাহলে অবশ্যই নির্মাণ কাজে অনিয়ম পাবেন বলে দাবি স্থানীয়দের। ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হয়নি। এদিকে পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার একজন পিআইও। ফলে দুই উপজেলায় দায়িত্ব পালনে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পি আই ও মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, কোন কাজ খারাপ হয়নি। আপনারা কিভাবে বুঝলেন কাজ খারাপ হচ্ছে। তিনি এও বলেন, কালিখাপাড়ার ব্রিজটি কিনা নয়, এটি রাজশাহীর এক ঠিকাদারের নামে নেয়া। এদিকে সময় ফুরিয়ে আসলেও তোড়িয়া ইউনিয়নে টপ শেষ হয়নি। অথচ ২৮ জুলাই এ কাজ শেষ হবে। এই কাজের টেন্ডার ড্রপ হয় ০৬-০৪-১৬ লটারি হয় ১৯-০৪-১৬। দেখা যায়, ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ব্রিজ নির্মাণে কমপক্ষে সময় লাগে এক মাসই কিন্তু অনেকে সময়ের অভাবে ১০/১৫ দিনের মধ্যেই ব্রিজ নির্মাণ শেষ করেন। এ কাজে বেশি তাড়াহুড়ো করার ফলে ব্রিজের টেকসই হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে ব্রিজ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ