Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুড়িগ্রামে বন্যায় দু’বছরেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক বাঁধ মেরামত হয়নি

চলাচলের ভোগান্তিতে ৩০ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:৫৩ এএম

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব এলাকায় ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ ও সড়ক দু’বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ১০টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছেন। বর্ষা নামলেই শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারেন না। বন্ধ হয়ে যায় হাট-বাজারে যাওয়ার সুবিধা। বেড়ি বাঁধ ও রাস্তা সংস্কারের দাবীতে গ্রামবাসীসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করলেও কোন লাভ হচ্ছেনা।

এলাকাবাসী জানান, ২০১৭ সালের বন্যার তাণ্ডবে কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের আরডিআরএস বাজার থেকে কাগজিপাড়া সড়কের ৭০০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। এছাড়াও এই বাজারের পূর্বদিকের বেড়িবাঁধের ১২০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। বাংলাবাজার টু প্যাড্ডার মোড় বেড়ীবাঁধের পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ফুলবাড়ী ও কুড়িগ্রামের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ এই রাস্তা ও বেড়িবাঁধটি। কয়েক জায়গায় গভীর খাল হওয়ায় বর্ষাকালে সীমাহীন কষ্ট করে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। গত দু’বছরেও এই সড়ক ও বাঁধটি মেরামত করা হয়নি। এবারের বন্যায় ফলে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এই বাঁধ ও রাস্তার উপর দিয়ে হলোখানা ইউনিয়নের কাগজিপাড়া, সারডোব, লক্ষ্মীকান্ত, ছাটকালুয়া,ফুলবাড়ি উপজেলার বড়লইসহ ১০টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে। তাছাড়া চর সারডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর কাগজিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সারডোব উচ্চ বিদ্যালয়, সারডোব ইমদাদিয়া আলিম মাদ্রাসাসহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার শিক্ষার্থী চলাচল করে।

হলোখানা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোক্তার হোসেন জানান, নৌকাও নাই রাস্তাও নাই, রোগী নিয়ে আমরা প্রায়ই বিপদে পড়ি। আরডিআরএস বাজারের ব্যবসায়ী জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধবস নেমেছে। এখন সারাদিনে ২০০ টাকা আয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। হলোখানা ইমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জুয়েল রানা জানান, বর্ষার সময় তারা বাড়িতেই বসে থাকেন মাদ্রাসায় আসতে পারেননা।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অনেক জায়গায় ঘুরেছি। কোন লাভ হয় নাই। এখন যদি বাঁধ ও আর রাস্তা মেরামত না হয়, বন্যায় সময় আমাদের দুর্ভোগের সীমা থাকবেনা।’

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, সারডোব ও পাশ্ববর্তি এলাকার কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভাঙা রয়েছে। ধরলা নদীর ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প একনেক-এ পাশ হলে এই সমস্যা থাকবেনা। তবে প্রকল্প পাশ হতে বিলম্ব হলে আগামী বর্ষার আগে ভাঙা বাঁধ মেরামতের চিন্তা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রকৌশলী সামিন শারার ফুয়াদ জানান, এবছর যেসব রাস্তা মেরামতের প্রস্তাব দেয়া আছে তার মধ্যে সারডোবের ভাঙা রাস্তাটি নেই। তবে আগামীতে এই রাস্তাটি মেরামতের প্রস্তাব দেয়া হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেরামত

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ