Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেমির পথে চট্টগ্রাম আবাহনী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

দ্বিতীয় জয় নিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম আবাহনী। গতকাল এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শিরোপা প্রত্যাশি স্বাগতিক দলটি ৪-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লাওসের তারুণ্য নির্ভর দল ইয়াং এলিফেন্টসকে।

ম্যাচে নবম মিনিটেই গোলের দেখা পায় আবাহনী। বাম প্রান্ত থেকে ফরোয়ার্ড রোকোভিচ লুকার বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সের ভিতর ধরে পোস্টে শট নেন আবাহনীর মিডফিল্ডার চিনেদু ম্যাথিউ। বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দলটি (১-০)। এর দুই মিনিট পরই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে লাওস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফরোয়ার্ড বংকং জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ১৪ মিনিটে লাওসের দলটি সমতায় ফেরে। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ফ্রি কিক চট্টগ্রাম আবাহনীর তৈরি করা দেয়ালের ওপর দিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে দেন ডিফেন্ডার আফিজাই (১-১)। ৩৪ মিনিটে আবাহনীর রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড়ের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান ফাঁকায় দাঁড়ানো প্রতিপক্ষের কেওহানাম। বল জালে জড়িয়ে দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন (২-১)।

পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম আবাহনী। আট মিনিটে তাদের ফরোয়ার্ড লোকোভিচ লুকা বাম প্রান্ত থেকে ফ্রি কিকের বল পেয়ে হেডে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় আয়োজক দলটি (২-২)। চাপ বজায় রেখে খেলতে থাকা আবাহনী ২৭ মিনিটে এগিয়ে যায়। সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে অধিনায়ক জাামল ভুঁইয়া প্লেসিং শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাভূত করেন (৩-২)। এর পর পরই আবাহনীর আরেকটি আক্রমণ থেকে বল পোস্টে ঠেলে দেন ম্যাথিউ। একেবারে গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করেন এলিফেন্টসের একজন খেলোয়াড়। ৩৭ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বলে চার্লস দিদিয়ের হেড জালে প্রবেশ করলে আবারও এগিয়ে যায় আবাহনী।

দিনের অপর ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রেখেছে কোলকাতার ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগান ক্লাব।

প্রথম ম্যাচে লাওসের ইয়াং এলিফেন্টসের কাছে তারা ১-২ গোলে হেরেছিল। মোহনবাগানের ড্যানিয়েল সাইরাস ও সালভাদর মার্টিনেজ একটি করে গোল করেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাইরাস। মালদ্বীপের ক্লাবটি পর পর দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনাল থেকে প্রায় বাদ পড়ে গেল।
খেলার শুরুতেই গোলের দেখা পায় মোহনবাগান। দ্বিতীয় মিনিটে ড্যানিয়েল সাইরাস হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০) । ১৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মোহনবাগানের শিলটন ডি সিলভার নেয়া জোরালো শট সাইডবারের গোড়ায় লেগে ফিরে আসে। ২৪ মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় মোহনবাগান। ফরোয়ার্ড সুহায়ের বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল মাইনাস করলে তা থেকে জুলেন ওলাইজোলা হেড নেন। কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মালদ্বীপের ক্লাবটির গোলরক্ষক। এরপর মোহনবাগান আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ বজায় রাখে মোহনবাগান। ১৯ মিনিটে মোহনবাগানের ওলাইজোলার পাস থেকে বল পেয়ে সালভাদর গোলমুখে শট নিলে সাইডবারে লেগে জালে প্রবেশ করে। ৩৭ মিনিটে মালদ্বীপের ইসমাইল ঈসার লম্বা পাস থেকে বল পেয়ে ফরোয়ার্ড বিমল শর্ট নিলে মোহনবাগানের গোলরক্ষক প্রতিহত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ