Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নুসরাত হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মনির নবজাতককে নিয়ে প্রশ্ন

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:৫৫ পিএম

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামিরই ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে অন্যতম নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মনি। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তার সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা থাকায় অবস্থায়ই কিলিং মিশনে অংশ নেন তিনি। কারারুদ্ধ মনি গত ২১ অক্টোবর জন্ম দেন কন্যাসন্তানের। এখন তার সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, মাননীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন সে রায়টি কার্যকর হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে। কারণ আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করবেন, পেপারবুক তৈরি হবে এবং এটা আপিল বিভাগে যাবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ফুল কোর্টে শুনানি হবে।

এরপর আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। এ প্রক্রিয়াটি আরও অনেক সময় লাগবে। কয়েক বছর লাগতে পারে। এ সময়ের মধ্যে কামরুন নাহার মনির বাচ্চা বড় হয়ে যাবে।
বাচ্চা তার পিতার জিম্মায় চলে যেতে পারবে। এবং কামরুন নাহার মনির শাস্তি কার্যকর হতে পারবে, বলেন তিনি।

তবে, এলাকাবাসী বলছেন, উচ্চ আদালতে মনির দণ্ড লাঘব হলেও এ শিশুটি ভবিষ্যতে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হবেন। কারণ এ হত্যা মিশনে কামরুন নাহার মনির যে ন্যাক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছেন তার সাজা তাকে ভোগ করতেই হবে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কীভাবে তিনি সহপাঠীকে হত্যার মতো ঘৃণ্যকাণ্ডে যুক্ত হলেন সেটি নিয়ে হতবিহ্বল তারা।



 

Show all comments
  • হারুন ২৪ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:৫৭ পিএম says : 0
    পাপ বাপেরও ছাডেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • মো: আবুল কাশেম ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:২০ এএম says : 0
    মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে ও মহামান্য সুপ্রীমকোর্টে বিভাগে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকটে যেন এ আদেশই বহাল থাকে । বিশ্বনাথের মতো ১৮৬০ সারের আইনের রেফান্সে পার না পায় এ কামনাই রইল।
    Total Reply(0) Reply
  • parvez ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৫২ এএম says : 0
    বাচ্চার বাবা কে ? তাঁর বক্তব্য কেন খোঁজা হচ্ছে না ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নুসরাত হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ