Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুমিল্লার ঈদ বাজারে মার্কেট গুলোতে বাড়তি আবহ

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে ঃ ঈদ সামনে রেখে কুমিল্লা নগরীর মার্কেটের রেডিমেড পোশাক বিক্রির দোকানগুলোতে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের পোশাকের রঙে-ঢংয়ে বাড়তি আবহ সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই বাড়তি আবহে দেশি ফ্যাশন হাউজের শিশু পোশাকের পাশাপাশি বিদেশি পোশাকও স্থান পেয়েছে বড় শপিংমলের দোকানগুলোতে। কেবল ক্রেতাই নয়, শিশুদেরও আকৃষ্ট করতে ডলের গায়েসহ থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানা রং, ডিজাইন ও কার্টুন সংবলিত ছেলেশিশু এবং গর্জিয়াস ফ্যাশনের কন্যাশিশুদের পোশাক। রোজার মাঝামাঝি ও শেষের দিকে শিশুদের জন্য পোশাকের রং, সাইজ মেলাতে হিমশিম পোহাতে হয়। আর তাই আগেভাগে ঘরের ছোট্টমণিদের ঈদের পোশাক কেনাকাটায় অভিভাবকদের ব্যস্ততা শুরু হয়েছে।
ঈদ স্পেশাল হিসেবে শিশু পোশাকের নজরকাড়া কালেকশনগুলো রোজার শুরু থেকেই ক্রেতাদের বিপুলভাবে আকর্ষিত করেছে। রোজার প্রথম সপ্তাহ পার হতেই গতকাল মঙ্গলবার থেকে নগরীর বড় শপিংমল ও সাধারণ মার্কেটগুলোতে শিশু পোশাক বিক্রিতে ধূম পড়ে। শিশু পোশাকঘরের বিক্রেতা, বিক্রয়কর্মীরাও গলদঘর্ম হয়ে পড়ছেন বিক্রির চাপে। দোকানগুলোতে দেশি পোশাকের চেয়ে বিদেশি পোশাকের আধিক্যতা রয়েছে। আর ক্রেতারাও দোকানে গিয়ে পোশাক হাতে ধরে আগেই জানতে চান বিদেশি কিনা। তখন বিক্রেতাও বেশ ভালোভাবেই লুফে নেন ক্রেতার ওই প্রশ্ন। শিশু পোশাক বিক্রেতারা জানান, তারা দেশির চেয়ে বিদেশি পোশাকই বেশি দোকানে তুলেছেন। ভারতের বম্বে, থাইল্যান্ড, ব্যাংকক ও চীনের পোশাকর চাহিদা রয়েছে উচ্চবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাদের কাছে। কন্যা শিশুদের জন্য ভারত, থাইল্যান্ড ও ব্যাংককের ফ্যাশন ব্রান্ড ক্যারট, অর্চনা, মাহেক ও পিটির পোশাকের চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও সোনিয়া, তারিক, আলমস্, নিলয়, ফাস্টার, ফেয়ার লেডিসহ বেশকিছু দেশি ফ্যাশনের পোশাক এবারের ঈদ বাজারে বিদেশি পোশাকের সাথে পাল্লা দিয়েছে।
এবারের ঈদে রঙের ক্ষেত্রে শিশুদের পোশাকে নীল, সাদা, হলুদ ও সবুজ প্রাধান্য পেয়েছে। ছোট্র সোনামণিদের উচ্ছ¡াস ঘিরে পোশাক ঘরগুলোতে রয়েছে অসংখ্য ডিজাইনের বিশাল আয়োজন। কার্টুন চিত্র ও বিভিন্ন ছবি সম্বলিত পোশাক মূলত ছেলে শিশুদের জন্য। আবার কন্যাশিশুদের পার্টি ফ্রগ, টপস্, স্কার্ট ও থ্রিপিসে বøক, ষ্টোন ও সুতার কারুকাজ রয়েছে। ঈদে গরম আবহাওয়া থাকতে পারে এমন সম্ভাবনায় অভিভাবকরা ছেলে শিশুদের শার্ট ও কন্যাশিশুদের ফ্রকের ক্ষেত্রে সুতি পোশাকের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। কন্যাশিশুদের জর্জেট কাপড়ের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। আর এসব কাপড়ের পোশাক এবারে লাল ও ক্রিম রঙের মধ্যে করা হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরের সাত্তার খান কমপ্লেক্স, খন্দকার হক টাওয়ার, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, সাইবার ট্রেড, নূর মার্কেট, হোসনেআরা ম্যানসন, কান্দিরপাড়ের চৌরঙ্গী শপিং সেন্টার, রামঘাট এলাকায় বিবি সমতট, কুমিল্লা টাওয়ার, রেইসকোর্সে ইস্টার্ণ এয়াকুব প্লাজা, পুলিশ কমপ্লেক্স সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট ও নজরুল এভিনিউতে আড়ংয়ের শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে ছোট্টমণিদের পোশাক কেনার হিড়িক চলছে। নগরীর সাধারণ মার্কেট ও শপিংমলে ছোট সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বাবা-মায়েরা এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘুরছেন। কয়েকজন অভিভাবক জানান, ভালো, সুন্দর কালেকশন ফুরিয়ে যাবে তাই আগেভাগে কিনে নিচ্ছেন।
নগরীর সাত্তার খান কমপ্লেক্স শপিংমলের নিউ রিলেশনের পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, এবারে শিশুদের পোশাকের ডিজাইনে বৈচিত্র্য থাকায় চাহিদাও বেশি। বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি দেশিয় ফ্যাশন হাউজের পোশাকেরও চাহিদা কম নয়, আমরা দেশি-বিদেশি দু’ধরনের পোশাকই বিক্রি করছি। রোজার ৬-৭টা থেকে পোশাক কেনাকাটার মাত্রা বেড়েছে। শিশুদের পোশাক কিনতে অভিভাবকদের যে চাপ শুরু হয়েছে তা ঈদের আগের রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। মেষ পর্যন্ত শিশুদের পোশাকের ঘাটতি হবে না। প্রচুর কালেকশন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুমিল্লার ঈদ বাজারে মার্কেট গুলোতে বাড়তি আবহ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ