Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

রাজশাহী -১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তারা কারা?

রাজশাহী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:১৫ পিএম

রাজশাহী অঞ্চলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত, জনপ্রিয় নেতা, রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী সফল আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ছাড়ায় মাদকের পৃষ্ঠপোষক, রাজাকার পুত্র, আওয়ামী লীগের চেতনাবিরোধী, জামায়াত-বিএনপি আশ্রয়- –প্রশ্রয়দাতা, নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে অপপ্রচার করচ্ছেন আওয়ামী লীগের এক শ্রেণীর বিপদগামী নেতা, তারা ফারুক চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন ও তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করায় সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে মাঠ পর্যায়ের নেতা, কর্মী সমর্থকগন মনে করচ্ছেন। ।

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, যে সব অভিযোগ উঙ্খাপন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা যার ওপর পূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস রেখে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যার হাতে তুলে দিয়েছেন সেই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মানে ধরে নেয়া যায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই। আর যারা এসব অপপ্রচার করছেন তারা অনেক আগেই আওয়ামী লীগের মূলধারা থেকে বেরিয়ে গিয়ে জামায়াত-বিএনপির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় তাদেরই বি-টিম হয়ে কাজ করছে। এছাড়াও ভূয়া ফেসবুক আইডি থেকে গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদসহ আওয়ামী লীগের আদর্শিক ও মূলধারার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা-ভিত্তিহীন ও মানহানিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন যেন ওমর ফারুক চৌধুরীর সুনাম ক্ষুন্ন ও জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটার নিন্মগামী হয়। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি।

ওই সব অপপ্রচারকারী সুবিধাবাদী নেতারা দল, নেতা, নেতৃত্ব, আর্দশ নীতি-নৈতিকতা ভুলে জামায়াত-বিএনপি, মাদক ব্যাবসায়ীদেও কালো টাকার কাছে বিক্রি হয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেঈমানী করে জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরদ্ধে কাজ করেছেন যা এলাকায় নিরপেক্ষ তদন্ত করলে প্রমান পাওয়া যাবে।
কিন্তু আওয়ামী লীগের ভরসা ও প্রাণ তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভালবাসার কাছে মীরজাফরাগণ বার বার পরাজিত হয়েছে।

সচেতন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেও মতে রাজনৈতিক এসব মীরজাফরগণ মূলধারার যে সব আদর্শিক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রচার করছেন আওয়মী লীগের রাজনীতিতে মূলধারার সে সব নেতার কি অবদান আছে ? আর এসব বেঈমানদের কি অবদান রয়েছে ? সেটা বিচার বিশ্লেষন করলেই পরিস্কার হয়ে যাবে এসব রাজনৈতিক বেঈমানদের আসল উদ্দেশ্যে কি ? আবার এসব বেঈমানদের বিরুদ্ধে সরকারী খাস জমি, নিয়োগ বানিজ্য, টেন্ডার বানিজ্য, খাদ্যগুদামে কৃষকদের হক নষ্ট করে নেজেরাই ধান গম দিয়ে খাদ্যগুদাম ভর্তি করেছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ তার পর বটকৃক্ষ হয়েছেন।এছাড়া পুকুর জবরদখল, থানায় তদবির বানিজ্য, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে টেন্ডার, অবৈধ তদ্বির ও চাঁদাবাজী, হাট-ঘাট-বালুমহাল-মাদক স্পটে চাঁদাবাজী, স্থানীয় নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মনোনয়নের ও বেকারদের চাকরির প্রলোভন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, বদলী বাণিজ্য প্রভ’তি অভিযোগের কথা সাধারণ মানুষের মূখে মূখে আলোচিত হচ্ছে।

জামায়াত-বিএনপির শক্তিশালী ঘাটি হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে যেখানে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি আদর্শিক মূলধারার নেতারা কোটি কেটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন এখানো করছেন, সেখানে মূলধারার বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক বেঈমানরা হঠাৎ কোটিপতি হয়েছেন তবে এরা কোনো বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতি বা আমলা নয় তাহলে তাদের হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়ার আয়ের উৎস্য কি ? অথচ এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে কেউ একটা প্রমাণ দিতে পারবেন না তিনি কোনো মানুষের বা সরকারী সম্পত্তি দখল করেছেন, টেন্ডার-চাঁদাবাজী, বদলী বাণিজ্য-মনোনয়ন বাণিজ্য, দলীয় কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজী করেছেন।

তাহলে পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন কর্মী-জনবান্ধব এই নেতা ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা প্রচারণা করছেন তারা কারা ? তাদের উদ্দেশ্যে কি ? আসলে এরা কি ? আওয়ামী লীগের ভাল চাই কখানোই না ?


স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছে, রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ প্রকৌশলী এনামুল হকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বা তার বিরোধীতা করায় যদি বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয় দলের শৃংঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড বজায় রাখতে। তাহলে যারা জেলা সভাপতির বিরোধীতা করে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রগান্ডা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দলের হাইকমান্ড নিরব কেন-? এটা কি সাংগঠনিক পরিপন্থী নয় ? আবার জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পদে থেকে জেলা সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যারা প্রকাশ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে মিথ্যা-ভিত্তিহীন অভিযোগ উঙ্খাপন করে দল, নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছেন নৈতিকভাবে তারা কি ? আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন ? দল পরিচালনা করতে গিয়ে নেতৃত্ব নিয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই পারে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দলীয় ফোরামে আলোচনা বা দলের হাইকমান্ডের কাছে নালিশ না করে রাজনীতির মাঠে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দেয়া কি দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী নয় কী? এর দায় নিবে কে ?


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, বিলাস ও প্রচার বিমূখ, সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি, কর্মী-জনবান্ধব, আদর্শিক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশস্ত নেতৃত্ব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা-ভিত্তিহীন-বানোয়াট, মনগড়া অভিযোগের পাহাড় দাঁড় করানো হয়েছে। এদিকে জননন্দিত ও গণমানুষের নেতা এমপি ফারুকেকের বিরুদ্ধে একের পর এক এসব গায়েবী অভিযোগের খবর প্রচার পর এই জনপদের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

প্রথম অভিযোগ এমপি ফারুক রাজনীতিতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বজনপ্রীতি করেছেন। অথচ এটা সর্ম্পূণ মিথ্যা কথা বাংলাদেশে ফারুক চৌধূরীই একমাত্র রাজনৈতিক নেতা যিনি তার পরিবার থেকে একাই রাজনীতি করেন। কারণ তার স্ত্রী-সস্তান তো দুরের কথা তার ভাই-বোনদেরই এই জনপদের মানুষ চেনেন না তারা রাজনীতিও করেন না তাহলে এমপি স্বজনপ্রীতি করলেন কিভাবে ?

দ্বিতীয় অভিযোগ, তিনি জামায়াত-বিএনপির আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা এটা ডাহা মিথ্যা। কারণ এমপি ফরুকের নেতৃত্বেই রাজশাহী জামায়াত-বিএনপির শক্তিশালী ঘাটিতে আমেরিকার টু ইন টাওয়ারের মত আঘাত ক্ষত বিক্ষত করে আওয়ামী লীগের শক্তিশালি ঘাটিতে পরিণত করা হয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর তার রাজনৈতিক দূরদশী সম্পন্ন নতৃত্বে এবারই
প্রথম গোদাগাড়ী উপজেলাতে ২টি পৌরসভা এবং ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৫টি আওয়ামীলীগ প্রার্থী জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে ২ নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সানাউল্লাহ ও রুহুল আমিন সরকারের উন্নয়নের সাথে একমত প্রেষন করে ওমর ফারুক চৌধুরীর হাত ধরে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। অপর দিকে তানোরের ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ এবং বির্তকিত নির্বাচনে ১টি পৌরসভায় বিএনপি বিজয়ী হয়েছে,

তৃতীয় অভিযোগ, তিনি টাকার বিনিময়ে জামায়াত-বিএনপির নেততর্মীদের চাকরি দিয়েছেন সেটাও ভিত্তিহীন। তিনি তো সরাসরি কাউকে চাকরি দেননি, চাকরি দিয়েছেন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতারা। তারা প্রার্থী ঠিক করে তাকে চাকরি দেয়ার জন্য এমপির কাছে সুপারিশ করেছেন আর তিনি দলের এসব নেতার সুপারিশ সমর্থন করেছেন মাত্র । তাদের দায়ভার এমপি নিবে কেন? । কারণ এই দায় তো ওইসব নেতার যারা এদের চাকরির জন্য এমপির কাছে সুপারিশ ও তদ্বির করেছেন।

চতুর্থ অভিযোগ তিনি আওয়ামী লীগের চেতনাবিরোধী এটাও ভূয়া কারণ রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অবৈধ অর্থেও মোহে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল অনেক নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি অসম্মান দেখিয়ে প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। অথচ একমাত্র এমপি ফারুক চৌধূরী আদর্শিক নেতৃত্ব তিনি দল, নেতা ও নেতৃত্বের কোনো বেঈমানী না করে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রাার্থীর পক্ষে ছিলেন।


পঞ্চম অভিযোগ, তিনি মাদকের পৃষ্ঠপোষক যেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত প্রগান্ডা ব্যতিত কিছু নয়। কারণ মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এমপি ফারুক চৌধূরীর অবস্থান সব সময় জিরো ট্রলারেন্স। তার কঠোর অবস্থান ছিল সব ধরণের অশ্লীলতা-বেহায়াপনা, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে যা এখানো রয়েছে। এমপি নির্বাচিত হবার পর তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় লটারি জুয়া, যাত্রা-পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নুত্যর আসর ও অপসংস্কৃতির অসুস্থ প্রতিযোগীতা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাঙ্গালির নিজস্ব সংস্কৃতি ও সুস্থ বিনোদের জন্য এসবের পরিবর্তে তিনি প্রচলন করেছেন বিজ্ঞান মেলা, স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগীতা, বৈশাখী মেলা, বইমেলা, চাকরির মেলা, উন্নয়ন মেলা, নবান্ন ও পিঠা উৎসব ইত্যাদি। তবে কিছু অসৎ নেতা পাতিনেতা মাদক ব্যবসায়ীদের সুসর্ম্পক রেখেছেন তাদের দায়ভার এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নিবে কেন? ওই সুবিধাবাদী নেতাদেও কেউ কেউ বহিস্কৃত হয়েছেন।


ষষ্ঠ অভিযোগ তিনি রাজাকার পুত্র এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা । কারণ তার বাবা শহীদ আজিজুল হক চৌধূরী ও চাচা মুকবুল হক চৌধূরীকে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তার মামা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনা।


সপ্তম অভিযোগ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রিডম পাটির নেতা ছিলেন এটাও বানোয়াট। কারণ ফরুক চৌধূরী ১৯৮২ সালে লেখপড়া শেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এসেছেন, আর ১৯৮৭ সালে রাজশাহীতে ফ্রিডম পাটির আর্বিভাব ঘটেছে।
অষ্টম অভিযোগ তার মালিকানাধীন উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহত ও সিসি ক্যামারে দ্বারা আধূনিক নিরাপত্তা বেষ্ঠিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থিম ওমর প্লাজায় মাদক ব্যবসায়ীরা ফ্ল্যাট ও দোকান কিনেছেন তাই সেখানে মাদকের কারবার হয়। এটিও ডাহা মিথ্যা কারণ সে ধুমপান নিষেধ। এছাড়াও সেটি একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের শর্ত পূরন ও অর্থ বিনিয়োগ করে যে কেউ ফ্ল্যাট বা দোকানের মালিক হতে পারেন। তাই কে মাদক ব্যবসাযী, কে চোরাকারবারী, কে সরকারী কর্মকর্তা ইত্যাদি দেখার বিষয় থিম ওমর প্লাজা কর্তৃপক্ষের নয়। এটি শুধুমাত্র তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সুনামক্ষুন্ন করতে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত অপপ্রচার ও প্রগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।


নবম অভিযোগ ফারুক চৌধূরী দলীয় সভায় আসেন না ও সংগঠনকে সময় দেন না এটাও বানোয়াট। কারণ জেলা সভাপতি হিসেবে যদি তিনি সংগঠনকে সময় না দেন তাহলে রাজশাহীতে সংগঠন আওয়ামী লীগ এতো শক্তিশালী ও গতিশীল হয়েছে কি ভাবে। যদি তাই হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে তৃণমূল থেকে অভিযোগ আশার কথা কিন্তু সেটা নেই।

শেষ অভিযোগ নিয়োগ বাণিজ্য এটাও মিথ্যা ও বানোয়াট অপ্রচার। কারণ জায়গার অভাবে একটি সরকারী পলিটেনিক ইন্সটিটিউট যখন ফিরে যাবার উপক্রম তখন তিনি তানোরের মানুষের কথা বিবেচনা করে তার ব্যক্তিগত কয়েক কোটি টাকা মূল্যর সম্পতি দান করেছেন। এছাড়াও এমপির সম্মানি ভাতার টাকা তিনি এখানো এলাকার অসহায়-দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করে আসছেন তাহলে কিসের লোভে কি লালসায় তিনি নিয়োগ বাণিজ্য করবেন তার তো কোনো অবৈধ অর্থলিপসা নাই।

এ ব্যাপরে গোদাগাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গোদাগাড়ী তানোরে যখন আওয়ামীলীগের হাল ধরার কেউ ছিল না তখন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমর ফারুক চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন, তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করায় গোদাগাড়ী তানোরে একক শক্তিশালী দল হিসেবে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সুসংগঠিত দল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তার উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তায় বেসামাল হয়ে একটি কুচক্রীমহল আমাদের নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে, শুধু মাত্র তার জনপ্রিয়তার ব্যারো মিটার দিনে দিনে উপরের দিকে ধাবিত হওয়ায় এবং তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করা অনিয়ম মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান করায় একটি কুচত্রীমহল বেসামাল হয়ে তার বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালাচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজশাহী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ