Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

১১ দফা দাবিতে দিনাজপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে অসদাচারণ

মাহফুজুল হক আনার দিনাজপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ছেলেকে চাকুরিচ্যুতি ও চরম দুর্ব্যবহার করায় অভিমানে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান গ্রহণ না করার ঘটনায় দিনাজপুর সদরের সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আর সেই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে চাকুরী দেয়া হয়েছে এম আবদুর মেডিক্যাল কলেজে। 

এদিকে গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধারা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুল আলমকে ওএসডি করে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
১১ দফা দাবী উত্থাপন করে দাবী মানা না হলে লাগাতার আন্দোলনে হুশিয়ারী দেন মুক্তিযোদ্ধারা। এই এদিকে গতকাল সোমবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের কবর জিয়ারত করেছে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এসএম তরিকুল ইসলামসহ মুক্তিযোদ্ধারা।
কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সব কিছু করে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার প্রতি এ ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তার সন্তানের চাকুরীর ব্যাপারে সব জায়গায় অগ্রাধিকার দিয়ে যাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে যে দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইকবালুর রহিম এ সময় মরহুম মুক্তিযোদ্ধার ছোট ছেলে নূর ইসলামকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ড্রাইভার পদে চাকুরীর দেন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে নুর ইসলাম চাকুরীতে যোগদান করবেন।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রীয় সম্মান ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার দাফন ও মুক্তিযোদ্ধার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দিনাজপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাকে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভুমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় পর্যায়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির একক সদস্য অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন তদন্ত করছেন। তদন্তে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবগত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ