Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন তেরেঙ্গানু

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৯, ৯:৫৬ পিএম | আপডেট : ২:১৯ এএম, ১ নভেম্বর, ২০১৯

স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর শিরোপা পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন পূরণ হল না। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরের ফাইনালে তারা মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু ফুটবল ক্লাবের কাছে ১-২ গোলে হেরে শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অপরদিকে তেরেঙ্গানু প্রথমারের মতো টুর্নামেন্টে খেলতে এসে তাদের দেশে নিয়ে গেল ট্রফি। আবাহনী প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার তাদের লক্ষ্য ছিল শিরোপা পুনরুদ্ধার। কিন্তু তাদের সেই আশা দূরাশাই রয়ে গেলে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৩০ হাজারেরও বেশি দর্শককে হতাশ করণ স্বাগতিক দলটি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে বল দখলের দুর্দান্ত লড়াই, স্কিল ও টেকনিকের প্রদর্শনীতে উপভোগ্য এই ম্যাচে শেষ হাসিটা হাসল অতিথিরা। অপরদিকে চট্টগ্রাম আবাহনী গ্যারারি ভর্তি দর্শকের উপস্থিতিতে ছিল ¯œায়ু চাপে। প্রথমার্ধে তারা তেমন ভালো খেলতে পারেনি। এই অর্ধে হজম করা দুই গোলেই মূলত ম্যাচ থেকে তারা ছিটকে পড়ে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তারা প্রাধান্য বিস্তার করতে পারলেও আদায় করতে পেরেছে মাত্র একটি গোল। বাকি আক্রমণগুলো পড়ে মুখ থুবড়ে। ফলে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল টুর্নামেন্টের আয়োজক দলটিকে।

বিজীয় দলের হাকিম বিন মামাথ এবং আজালিনুল্লাহ গোল দু’টি করেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর একমাত্র গোলটি করেন রোটোভিচ লুকা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বিজয়ী দলের মামাথ। দুই হ্যাটট্রিকের সুবাদে ৬ গোল পাওয়া তেরেঙ্গানু অধিনায়ক লি টাক হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং টুর্নামেন্ট সেরা।
প্রথমার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ১২ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে বক্সের ভেতর থেকে শট নেন স্বাগতিক দলের স্ট্রাইকার লুকা। বল চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে। এর তিন মিনিট পর কাউন্টার এটাক থেকে তেরেঙ্গানু কর্ণার পায়। অধিনায়ক লি টাকের কর্ণার থেকে বক্সের ভেতর দাঁড়ানো ডিফেন্ডার হাকিম বিন মামাথ হেড করলে জালে ঠাঁই নেয় (১-০)। গ্যালারি ভর্তি দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় তেরেঙ্গানু। ১৯ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় মালয়েশিয়ার দলটি। মিডফিল্ডার এম জুসাইরাফ মধ্য মাঠ থেকে বল নিয়ে আবাহনীর দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বল বাম প্রান্তে ঠেলে দেন। সেখানে ফাঁকায় ছিলেন মিডফিল্ডার আজালিনুল্লাহ। বল ধরে দু’জনকে কাটিয়ে রকেট গতিতে বক্সে ঢুকে যান। আগুয়ান গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন (২-০)। প্রধমার্ধের খেলা শেষের দুই মিনিট আগে ডান প্রান্ত থেকে তেরেঙ্গানু অধিনায়কের দূরপাল্লার শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। দুই মিনিটেই পরিকল্পিত একটি আক্রমণ থেকে গোলের দেখা পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডান প্রান্ত থেকে ম্যাথিউর বাড়ানো বলে লুকার শট ক্রসবারে লেগে গোললাইন অতিক্রম করে ভেতরে প্রবেশ করে ড্রপ খেয়ে বেরিয়ে আসে। রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দেন(২-১)। প্রথমবারের মতো উল্লাসে পেটে পড়েন গ্যালারি ভর্তি প্রায় ৩০ হাজার দর্শক। ৪৩ মিনিটে তেরেঙ্গানুর লি টাক প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়েও দুর্বল শট নেন।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন অর্থমন্ত্রী ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মোস্তফা কামাল। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, চট্টগ্রাম আবাহনীর সভাপতি এমএ লতিফ এমপি, মহাসচিব সামশুল হক চৌধুরী, আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, টুর্নামেন্টের চিফ কোঅর্ডিনেটর তরফদার রুহুল আমিন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ