আরব বিশ্বে তুরস্কের প্রভাব জেঁকে বসছে

মধ্যপ্রাচ্যের আধিপত্যের রাজনীতিতে তুরস্ক কোনও নতুন নাম নয়। দেশটির অটোমান সাম্রাজ্য ৫ শ’ বছর ধরে
ভারতের মনিপুর রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ পিপলস রেভল্যুশনারি পার্টি অব কাংলেইপাক (প্রেপাক) ইয়ামবেম বিরেন ও নারেংবাম সমরজিতের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তাদের নির্বাসিত সরকারের প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত থেকে মনিপুরের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং লন্ডনে ২৯ অক্টোবর মনিপুর স্টেট কাউন্সিল নামে প্রবাসী সরকার গঠনের সিদ্ধান্তকে প‚র্ণ সমর্থন দিচ্ছে প্রেপাক”। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ১৯৪৯ সালে মনিপুরকে ভারতের সাথে যুক্ত করার পর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও সশস্ত্র আন্দোলন হয়েছে, এবং প্রেপাক যদিও সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাস করে, তবু তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জাতির হারানো স্বাধীনতা পুনর্বহারের উপর আস্থা রেখেছিল। প্রেপাকের প্রচারণা বিভাগের সেক্রেটারি-ইন-চার্জ লেইবাক গাকপা লুওয়াং এ কথা বলেছেন। প্রেপাক বিশ্বাস করে যে, হারানো স্বাধীনতা তখনই পুনর্বহাল করা সম্ভব যখন তাদের নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া শুরু করবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়ামবেম বিরেন ও নারেংবাম সমরজিৎ ব্রিটেনে আশ্রয় নিয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সেটাকে সমর্থন দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি যে গণতান্ত্রিক আহ্বান জানিয়েছেন, সেটার প্রতি প্রেপাক সমর্থন জানায় এবং এটাকে বিপ্লবী আন্দোলনের অংশ বিবেচনা করে। সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপটি মনিপুরের ২০০০ বছরের পুরনো ইতিহাসকে স্মরণ করেছে যে সময়টাতে ৮৪ জন রাজা তাদের শাসন করেছে এবং তারা ১৯৪৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের ঘটনাকেও স্মরণ করেছে, যখন ভারত সামরিক শক্তির মাধ্যমে বল প্রয়োগ করে রাজা বোধাচন্দ্রকে দিয়ে ভারতের সাথে মনিপুরকে সংযুক্ত করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় এবং তাকে পাহাড়ের মানুষদের সাথে কথা বলতে দেয়া হয়নি। এতে আরও বলা হয়েছে ভারত ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর মনিপুরকে রাজ্য ঘোষণা করে এবং একজন কমিশনারের নিয়ন্ত্রণে এর শাসনের দায়িত্ব দেয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ৭০ বছর ধরে এই শাসনের পর মনিপুরের মানুষ এখন দাসের মতো জীবনযাপন করছে এবং সেখানকার দমনম‚লত ও কালো আইনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বিদ্রোহী গ্রুপটি আরও বলেছে মনিপুরের বিভিন্ন গোষ্ঠি এখন ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামছে, স্বাধীনভাবে বাস করার ব্যাপারে তাদের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করছে এবং এই অর্থহীন জীবন থেকে তারা মুক্তি চাচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, একমাত্র ঐক্য এবং সত্যই পারে ঔপনিবেশিক শাসনকে ছুড়ে ফেলতে। বিভক্ত চিন্তা-চেতনা দিয়ে এই অর্জন হবে না। প্রেপাকের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য বিবৃতিতে মনিপুরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।