Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উনার দিল ধারাকতাহে, দিল্লি দিল্লি কারতা হে -রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৯, ২:০১ পিএম | আপডেট : ৪:১৫ পিএম, ৪ নভেম্বর, ২০১৯
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কিভাবে দেশকে ভালবাসতে হয় গতকাল তার বর্ণনা শিখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  কিন্তু কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন?কারণ উনি প্রায় হিন্দিতে হিন্দিতে কথা বলেন। উনার আরেক সতীর্থ মতিয়া চৌধুরীও হিন্দিতে কথা বলছেন। আমরা হিন্দি অতটা জানিনা, তারপরও মনে হয় উনার মুখে দেশপ্রেম আর হৃদয়ের দেশপ্রেম অন্য জায়গার জন্য।  উনার হৃদয়ের দেশপ্রেম হচ্ছে-  'দিল ধারাকতাহে দিল্লি দিল্লি করতাহে।'
সোমবার (৪ নভেম্বর)  দুপুরে পল্টনে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায়  জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান ও  ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। 
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তামাশা বিদ্রুপের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, একজন অসুস্থ মুমূর্ষু, শোচনীয়, রোগীকে নিয়ে জঘন্য ভাষায় কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ তিনি নির্দোষ, যে অভিযোগে তাকে জেলে নেয়া হয়েছে তা মিথ্যা, যে টাকার কথা বলা হয়েছে সে টাকা এখন ব্যাংকে জমা রয়েছে এবং তা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।কিন্তু শেখ হাসিনা ওনাকে বাইরে রাখবেন না, রাখলে তো ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বরের রাতে করতে পারতেন না।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ডাক্তাররা বলছেন তার অসুস্থতা গুরুতর এবং কি কি কারণে অসুস্থ তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হচ্ছে। তারপরেও শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা এটা নিয়ে তামাশা করছে। একটা ডার্ক অন্ধকার তামাশা। একজন অসুস্থ রোগীর প্রতি বিদ্রুপ করা হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের সময়ে টাকা-পাচারের তথ্য তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার ১০ বছরে নয় লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, বেসিক ব্যাংকে আওয়ামী লীগ নেতারা লুটপাট করেছে, নির্দোষ মানুষকে আপনারা জেল খাটাচ্ছেন আপনার বিচারক দিয়ে, পুলিশ দিয়ে মামলা করিয়েছেন, শেখ হাসিনা যা বলছেন পুলিশ তাই করছে।
অথচ দেশের অর্থনীতিবিদ গতকাল সিপিডি বলেছেন, ব্যাংকে টাকা নাই, আওয়ামী লীগ নেতারা টাকা-পয়সা লোপাট করেছে। আর আপনারা শোনাচ্ছেন উন্নয়নের জোয়ার।  প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের লজ্জা-শরম কে ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। তাই তাদের কথা বলতে লজ্জা-শরম কিছু লাগেনা। 
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আপনি বলেছিলেন তারেক রহমান মালয়েশিয়া কারখানা স্থাপন করেছে প্রমাণ দেখাতে পারেননি, এজন্য জনগণ আপনাকে মিথ্যাবাদী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আপনি সবসময় জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন কিন্তু জনগণ আপনার দ্বারা বিভ্রান্ত হয় না
তিনি বলেন, মিথ্যার পরিণতি খুব খারাপ হয়। মিথ্যার বেসাতি করে স্বল্প সময় টিকে থাকা যায়। কিন্তু সময় ঘনিয়ে আসছে, মিথ্যাচার করে পার পাওয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী ও তার  মন্ত্রীরা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক  রহমানের আতঙ্কে ভুগছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য বাইরে আছেন। তাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়, তাকে নিয়ে এত ভয় কেন? খালেদা জিয়া কারাবন্দি রয়েছেন, তাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে এত ভয় কিসের? তাদের ভয়ে রাতের অন্ধকারে দুঃস্বপ্নের চিৎকার দিয়ে উঠে সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রীরা। তারা মনে করেন এই বোধহয় তারেক রহমান আসলো এই বোধহয় খালেদা জিয়া চলে আসলো। করণ এই সরকারের মন্ত্রীরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, গণবিচ্ছিন্ন সরকারের লোকজন দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করে, প্রধানমন্ত্রীর কথাবার্তা  দুঃস্বপ্নে আত্মচিৎকার ছাড়া আর কিছুই নয়।
সাদেক হোসেন খোকার বিষয়ে তিনি বলেন, খোাকা একজন পূর্ণাঙ্গ রাজনীতিবিদের প্রতিচ্ছবি। তিনি দেশমাতৃকার যেকোন সঙ্কটে নির্ভয়ে ঝাপিয়ে পড়েছেন। আজ দেশের যে অবস্থা এই সময়ে খোকার সুস্থতা খুববেশি প্রয়োজন।  
 
 এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, দক্ষিণ বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী  বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি সরোয়ার আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ