Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তীব্র নিন্দা ব্যুরো চিফ ফোরামের

ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ক্যাসিনো’র মুখোশ উন্মোচন এবং দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযানে গণমাধ্যম হিসেবে ইনকিলাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

শুধু তাই নয় বর্তমান সরকারের নানামুখি প্রকল্প-মেগা প্রকল্প এবং উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশে অন্যন্য ভূমিকা পালন করেছে ইনকিলাব। একই সঙ্গে সাহসিকতার সঙ্গে নানান দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশে পিছপা হয়নি। গণমাধ্যম হিসেবে ইনকিলাব প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ ও সেক্টরের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম-দুর্নীতির খবরও ছেপেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দুদক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে ইনকিলাব ব্যুরো চীফ ফোরাম এসব কথা বলেছে। একই সঙ্গে ফোরাম ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলায় গভীর বিস্ময় প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়েছে।

ইনকিলাব ব্যুরো চীফ ফোরাম বলেছে, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন একজন দেশপ্রেমি সাহসী এবং সজ্জন ব্যাক্তিত্ব। নীতিবান প্রবীণ এই সাংবাদিকের সম্পাদকীয় নীতিতে সততা ও নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। তিনি প্রতিকুল অবস্থা থেকেও হাজারো বাঁধাবিপত্তি মোকাবিলা করে ১৬ কোটি মানুষের কন্ঠস্বর দৈনিক ইনকিলাবকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে ইনকিলাব সবসময় অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোসহীন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দৈনিক ইনকিলাব প্রকাশনালগ্ন থেকে নির্ভিকভাবে শুধু দেশ ও জনগণের কথা বলে আসছে। জনগণের কাছে সত্য তুলে ধরা হচ্ছে এর নীতি। যার জন্য অতীতে বহুবার বাঁধাবিঘ্ন এসেছে। ইনকিলাবের সাংবাদিকদের বিভিন্নসময় জেল জুলুম হুলিয়া প্রশাসনিক হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে। প্রকাশনা চিরতরে বন্ধ করার প্রয়াসও কম হয়নি। এখন স্পষ্ট দুদকের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইনকিলাবের সাহসী প্রতিবেদন প্রকাশের কারণেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। আল্লাহর রহমত সততা আর অগণিত পাঠকের ভালবাসা পীর মাশায়েখদের দোয়ার বরকতে সব অশুভ তৎপরতা নস্যাৎ হয়ে গেছে।

সংবাদ প্রকাশে ক্ষুব্ধ হয়ে দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিনের নামে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করার নজীরবিহীন ঘটনার নিন্দা জানান নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, কথিত অবৈধ সম্পদের মামলায় আমরা বিস্মিত ক্ষুব্ধ। দূনীতির বিরুদ্ধে যখন প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছেন। দৈনিক ইনকিলাবও সারা দেশের দূনীতিবাজদের কথা তুলে ধরছে। ঠিক সে মুহুর্তে দূর্নীতি দমন কমিশন দুনীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযানে না গিয়ে উল্টো ইনকিলাবের কন্ঠ স্তব্ধ করতে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, ইনকিলাব ব্যুরো চীফ ফোরামের প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান তোতা, সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক আনোয়ার, কোষাধ্যক্ষ মো. রবিউজ্জামান, সিনিয়র সদস্য রেজাউল করিম রাজু, শফিউল আলম, নাছিম উল আলম, মহসিন রাজু, মাহফুজুল হক আনার, শামসুল আলম খান, ফয়সল আমিন, আবু হেনা মুক্তি, শামসুল হক শারেক ও রফিকুল ইসলাম সেলিম।##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুদক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ