Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বহু প্রতীক্ষিত বাবরি মসজিদ ভূমি মামলার রায় আজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। বহু প্রতীক্ষিত বাবরি মসজিদ ভূমি মামলায় আজ শনিবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলায় রায় ঘোষণার সম্ভাবনা। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএসআই এই খবর জানিয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে অযোধ্যার জমি বিতর্কের শুনানি শেষ হয়। তবে সে সময় কোনও রায় ঘোষণা করেনি সর্বোচ্চ আদালত।
এদিকে, আগামী ১৭ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তার আগে এই মামলার রায়দান হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। এর মধ্যেই শুক্রবার রাতে সেই মতো প্রশাসনিক মহলে সমস্ত ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব রাজেন্দ্র কুমার তিওয়ারি এবং পুলিশ প্রধান ওম প্রকাশ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান বিচারপতি গগৈ। এই জল্পনার মধ্যেই শুক্রবার রাতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল।
এদিকে, অযোধ্যার আশপাশে অনেক গ্রামেই এখন উড়তে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ ড্রোন। ৩০টি বম্ব স্কোয়াড নিয়োগ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতেই। অযোধ্যার অধিকাংশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। চলবে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেখানে চার হাজার আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে ষোলো হাজার পুলিশকর্মী।
থমথমে শহরের অনেকে অশান্তির ভয়ে আগে থেকেই বাড়ির শিশু ও মহিলাদের সরিয়ে দিয়েছেন অন্যত্র। কেউ কেউ আবার চাল-ডাল-সব্জি বাড়িতে মজুত করে রাখছেন। তারা বলছেন, সাবধানের মার নেই। ১৯৯২-এর স্মৃতি এখনও টাটকা। ২০১০-এরও। তাই কোনও ঝুঁকি তারা নিতে পারবেন না। পরিবার আগে। পরে আর সব কিছু।
সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে কোনও পোস্ট দেয়া নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন অযোধ্যার জেলাশাসক। আশপাশের প্রতিটি গ্রামে ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। তারা নিরন্তর পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। কোনও রকম উত্তেজক অবস্থা হলে তারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাবেন। সা¤প্রদায়িক দিক থেকে স্পর্শকাতর এলাকায় অনেক বেশি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।০
ভারতীয় রেল তাদের কর্মীদের জন্য ৭ পাতার নির্দেশিকা জারি করেছে, বাতিল হয়ে গেছে সব ছুটি। ৭৮টি বড় স্টেশনে বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা। রেলের ব্রিজ, টানেল, প্ল্যাটফর্মে বাড়তি নজর দেয়া হচ্ছে। তবে, সেই রায় আসার আগে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হল, অযোধ্যাসহ দেশজুড়ে শান্তি বজায় রাখা। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে যাতে শান্তি বজায় থাকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই মর্মে সর্বত্র চিঠি পাঠিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছেন, তারা যেন প্রতিক্রিয়ার সময় অত্যন্ত সংযত থাকেন। এই সতর্কতা দলের নেতারা, মুখপাত্ররাও বজায় রাখবেন। বিজেপি বা সঙ্ঘ পরিবারের তরফে কোনও নেতা যাতে কোনও উত্তেজক কথা না-বলেন, তার জন্য নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই সব রাজ্যের মুখপাত্রদের নিয়ে বৈঠক সেরে ফেলেছে। সেখানে তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা যেন কোনওরকম উত্তেজক কথা না বলেন। কী রকম ভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে হবে, সেটাও তাদের বোঝানো হয়েছে। সূত্র : এএনআই ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ