Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মসজিদের জায়গা নিয়ে অযোধ্যায় নতুন বিবাদের শঙ্কা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৫৮ পিএম

‘ললিপপ চাই না। সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কোথায় জমি দিতে চাইছে।’–অযোধ্যা মামলায় মুসলিম পক্ষের এক মামলাকারী হাজি মেহবুবের মন্তব্য নিয়ে ফের নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় মোটামুটি মেনে নিয়েছে সব পক্ষই। কিন্তু একটা খটকা থেকে গেছে এখনও। সর্বোচ্চ আদালত মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি দিতে বললেও, সেই জমি কোন এলাকার হবে তা নির্দিষ্ট করে বলেনি। আর এতেই নতুন করে বিবাদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শহরের কোথায় পাঁচ একর জমি পাওয়া যাবে তা নিয়ে সবার মনেই প্রশ্ন।

১৯৯১ সালে অযোধ্যায় বিতর্কিত এলাকা ছাড়াও সংলগ্ন এলাকার জমি অধিগ্রহণ করেছিল ভারতের কেন্দ্র সরকার। সেই জমি থেকেই পাঁচ একর চায় মুসলিম পক্ষ। উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল বোর্ড আগেই জানিয়েছে, যে তারা মসজিদের জমির বিষয়ে অবস্থান ঠিক করতে আগামী ২৬ নভেম্বর বৈঠকে বসছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার অবশ্য মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যার আশপাশে বিকল্প জমির খোঁজ শুরু করে দিয়েছে। শহরের বাইরে জাতীয় সড়কের পাশে জমি দেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনার কথাও জানা গিয়েছে। কিন্তু সেটা খুব সহজ হবে না। ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় মসজিদ গড়ার জমি অধিগৃহীত এলাকা থেকেই দিতে হবে বলে দাবি তুলেছেন একাধিক মুসলিম নেতা। অনেকের বক্তব্য, অন্যত্র জমি দেওয়ার চেষ্টা হলে মুসলিম সম্প্রদায় তা ফিরিয়ে দিতে পারে।

অযোধ্যা মামলায় মুসলিম পক্ষের অন্যতম আবেদনকারী ইকবাল আনসারি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জমি এমন জায়গাতেই দিতে হবে যেখানে আমাদের সুবিধা হয়। সরকার অযোধ্যায় ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। সেই জমি থেকেই আমাদের পাঁচ একর দিতে হবে। না হলে আমরা জমি নেব না।’ স্থানীয় মুসলমানদের বক্তব্য, মসজিদ বানাতে মুসলমানরা নিজে থেকেই জমি কিনতে পারে। কারও দান লাগবে না। তবে আদালত এবং সরকার যদি মুসলিমদের আবেগকে গুরুত্ব দিতে চায়, তা হলে অধিগৃহীত এলাকার মধ্যেই পাঁচ একর জমি দিতে হবে। ওই এলাকায় কবরস্থান, দরগাও রয়েছে।

স্থানীয় সংবাদপত্রে এখন এই সব রকম মত নিয়েই দারুণ উত্তেজনা। সেখানেই অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক খালিক আহমেদ খান একই কথা বলেছেন। তিনি আবার অযোধ্যা পুরসভার জনপ্রতিনিধি। তিনি বলেন, ‘মসজিদের জন্য জমি দিতে চাইলে তা অধিগৃহীত ৬৭ একরের মধ্যেই তা দিতে হবে। না হলে আমাদের কোনও রকম দানের প্রয়োজন নেই।’ জমিয়ত উলেমা হিন্দের অযোধ্যা অঞ্চলের সভাপতি মৌলানা বাধা খানেরও বক্তব্য, মুসলিমরা বাবরি মসজিদের জন্য লড়েছিল, অন্য কোনও জমির জন্য নয়।

সব মিলিয়ে আশঙ্কার মেঘ জমছে। এত দিন ধরে যতই বিবাদ হোক না কেন, এবার সমাধান চায় অযোধ্যা। দীর্ঘ দিনের মামলা মিটেছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে মীমাংসা শান্তিতে হবে না, এমন আশঙ্কার মেঘ জমেছে অযোধ্যা নগরীতে। সূত্র: দ্য ওয়াল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাবরি মসজিদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ