Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রথম দিনে উপচেপড়া ভিড়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

করসেবা প্রদান ও সচেতনতা বাড়াতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা। রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে মেলা চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। গতকাল প্রথমদিনেই রাজধানীর মিন্টো রোডের অফিসার্স ক্লাবে উপচেপড়া ভিড় ছিল করদাতাদের। দেশকে এগিয়ে নিতে কর প্রদানের বিকল্প নেই বলে জানান করদাতারা।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, গতকাল সকাল ৯টায় মেলা শুরু হওয়ার আগেই করদাতা ও সেবাপ্রার্থীরা মেলা প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে করদাতা ও সেবাপ্রার্থীদের ভিড়। তবে সব থেকে বেশি ভিড় দেখা গেছে রিটার্ন জমা দেয়ার স্থানে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্ন জমা দেয়ার স্থানে কয়েকশ মানুষের লাইন দেখা যায়।
করসেবা প্রদান ও কর সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছরের মতো এবারও আয়কর মেলার আয়োজন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর- স্লোগানে এবার রাজধানীতে কর মেলা বসেছে অফিসার্স ক্লাবে। গতকাল শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।
এনবিআর জানায়, এবারের মেলায় হেল্প ডেস্ক, রিটার্ন বুথ ও ই-পেমেন্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে ই-টিন জোন ও রিটার্ন পূরণের স্থান। মেলা প্রাঙ্গণে এবার ৩৯টি হেল্প ডেস্ক করা হয়ছে, যা গত বছর ছিল ৩৩টি। রিটার্ন বুথ রাখা হয়েছে ৫২টি, যা গত বছর ছিল ৪৯টি। আর ই-পেমেন্ট বুথ করা হয়েছে ১৪টি, যা গত বছর ছিল ১টি। বুথের সংখা বাড়ানো হলেও লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে করদাতাদের কর দিতে হচ্ছে। মূলত ওয়ার্কিং ডে (অফিস খোলা থাকা) হওয়ায় করদাতাদের একটি বড় অংশ সকালেই কর দিতে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় করে। এ কারণে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে মেলা প্রাঙ্গণ এক প্রকার জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
মেলায় আগতরা জানান, কর দিতে কী কী করতে হবে তা মেলা প্রাঙ্গণের হেল্প ডেস্ক থেকে জেনে নেয়া যাচ্ছে। যারা নতুন করদাতা তাদেরকে প্রথমে ই-টিন খোলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই ই-টিন খোলা যাচ্ছে। ই-টিন খোলার পর ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও বেতনের স্টেটমেন্ট নিয়ে এসে ফরমপূরণ করে আয়কর দেয়া যাচ্ছে।
মেলা প্রাঙ্গণে কর দিতে আসা মনির হোসেন নামের একজন বলেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে এখানে এসেছি। আমি আগেও কর দিয়েছি। তাই কী করতে হবে জানা ছিল। কিন্তু রিটার্ন জমা দিতে এসে দেখি দীর্ঘ লাইন। লাইনে দাঁড়িয়েছি আধা ঘণ্টার ওপরে। সামনে আরও ২০-৩০ জনের মতো আছে। মনে হচ্ছে আরও আধা ঘণ্টার মতো লাগবে। তিনি বলেন, সময় একটু বেশি লাগলেও আজ (গতকাল) কর দিয়ে যাব। এতে এক বছরের মতো আর টেনশন থাকবে না। তাছাড়া মেলায় কর দেয়া তুলনামূলক সহজ। এখানে কর দিতে কোনো হয়রানি হতে হয়না। কোনো সমস্যা হলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ আছে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সমাধান করা যায়। বাবুল হোসেন নামের একজন বলেন, কর দেয়ার জন্য মেলা প্রাঙ্গণে সব সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ফরম পূরণে ভুল হচ্ছে কিনা সন্দেহ হলেই সেটা হেল্প ডেস্ক থেকে দেখিয়ে নেয়া যাচ্ছে। গত বছরও মেলা প্রাঙ্গণে এসে কর দিয়েছি। কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়নি। আশা করছি এবারও কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। তবে সকালে এসেও এবার মেলা প্রাঙ্গণে অনেক ভিড় দেখছি।
তিনি বলেন, গত বছর মেলার প্রথম দিন সকালে এতো ভিড় ছিল না। কিন্তু শুক্রবার ও শনিবার অনেক ভিড় ছিল। এ কারণে এবার মেলার প্রথম দিনই কর দিতে এসেছি। ভেবেছিলাম অল্পকিছু সময় লাইনে দাঁড়িয়েই কাজ শেষ করতে পারবো। কিন্তু রিটার্ন জমা দিতে এসে দেখি আমার সামনে শতাধিক মানুষ লাইনে আছেন।
উল্লেখ্য, বিভাগীয় শহরগুলোতে ৭ দিন, জেলা পর্যায়ে ৪ দিন, ৪৮ উপজেলায় ২ দিন মেলা চলবে। এ ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ৮টি গ্রোথ সেন্টারে হবে একদিন ভ্রাম্যমাণ মেলা।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিড়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ