Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চৌদ্দগ্রামে ভুয়া নামে সরকারি ভাতা উত্তোলন

প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের এলএমএসএস পদের একজন বদলি হওয়ার পর অন্য নামে প্রশিক্ষণের সরকারি ভাতা উত্তোলন করছে ইন্সট্রাক্টর মমিনুল ইসলাম মজুমদার। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাংবাদিকদের হাতে পাওয়ার পর তিনি সত্যতা স্বীকার করেছেন। জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুন করা এলাকায় অবস্থিত উপজেলা রিসোর্স সেন্টার। সেখানে এলএমএসএস পদে থাকা দেলোয়ার হোসেন চলতি বছরের ২৫ জুন মাসে চট্টগ্রামে বদলি হন। তার অনুপস্থিতিতে খলিলুর রহমান নাম দিয়ে সরকারি কর্ম দিবসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশিক্ষণ চলাকালিন দৈনিক ভাতা, খাবারবিল ও যাতায়াত ভাতা বাবদ ১৪৪০ টাকা করে উত্তোলন করছেন ইনস্ট্রাক্টর মমিনুল ইসলাম মজুমদার। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে খলিলুর রহমান নামের জাল স্বাক্ষর ইন্সট্রাক্টর নিজেই করেন। গত ১০ নভেম্বর পিইডিপি-৪ এর আওতায় মার্কিং প্রশিক্ষণের খরচ বাবদ অর্থ উত্তোলনের জন্য উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে জমা দেয়া বিল ভাউচারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এছাড়াও প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য সরকারিভাবে ২৬৪০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তিনি সেখানে ২৫৫০ টাকা দিয়ে বাকি ৯০ টাকা হারে রেখে দেন। এদিকে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য উপকরণ হিসেবে সরকারি বরাদ্দ দেখানো হয়েছে-৫ টাকার কলম ২০ টাকা, ১২ টাকার ফাইল ৫০ টাকা। প্রশিক্ষণের সকল উপকরণেও সরকারি ক্রয় নীতিমালা উপেক্ষা করে কয়েকগুন বেশি দাম দেখিয়ে সরকারি বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাত করছে ইন্সট্রাক্টর মমিনুল ইসলাম মজুমদার।

কয়েকজন শিক্ষক জানান, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সরকারি ভাতার অংশ কেটে নেয়া ইন্সট্রাক্টর মমিনুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। এ রকম অসাধু কর্মকর্তার কারণে দেশে দুর্নীতি বেড়েই চলছে।

উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টর মো. মমিনুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এলএমএসএস ১টি পদ খালি আছে। সেখানে খলিলুর রহমানের নামে ভাতা উত্তোলনের ঘটনা সত্য। তবে আমার বক্তব্য কোড করলে আমি সব কথা বলতে পারবো না এবং সব কিছুই নিয়মের মধ্যেই করেছি।
কুমিল্লা জেলা রিসোর্স সেন্টারের সুপার হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া বলেন, আমি এখনই ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। কাগজপত্র দেখে অনিয়মের সত্যতা পেলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

চট্টগ্রাম রিসোর্স সেন্টারের ডিডি সুলতান মিয়া বলেন, অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ