Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন তারই কর্মকর্তা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের প্রতি আহŸান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের তদন্তে এ তথ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডেভিড হোমস। অভিশংসন নিয়ে তদন্তে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। এ সময় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চাইছিলেন ট্রাম্প। তখন যুক্তরাষ্ট্রের একজন দ‚ত ট্রাম্পকে বলেছিলেন, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওই দ‚ত হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দ‚ত গর্ডন সন্ডল্যান্ড। গত জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সন্ডল্যান্ডের মধ্যে এ নিয়ে ফোনালাপ হয়। তা শুনতে পেয়েছেন ডেভিড হোমস। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুরোধ করেন ট্রাম্প। এর একদিন পরেই ওই দু’জনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। ডেভিড হোমস ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের সামনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সাক্ষ্য দেন। এতে তিনি বলেন, ট্রাম্প ও সন্ডল্যান্ডের মধ্যে ফোনকল শুনেছেন তিনি। তাতে ‘তদন্ত’ নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একটি রেস্তোরাঁ থেকে ২০১৯ সালের ২৬ শে জুলাই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন সন্ডল্যান্ড। হোমসের দেয়া সাক্ষ্যের একটি কপি হাতে পেয়েছে সিবিএস নিউজ। এতে হোমস বলেছেন, ওই ফোনকলে সন্ডল্যান্ড ট্রাম্পকে বলেছেন যে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আপনার নিতম্ব পছন্দ করেন। এরপরেই আমি শুনতে পাই যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানতে চাইছেন, তাহলে তিনি এই তদন্ত করছেন? জবাবে রাষ্ট্রদ‚ত সন্ডল্যান্ড বলেন, হ্যাঁ তিনি তা করবেন। আপনি যা-ই বলবেন জেলেনস্কি তাই করবেন। ওদিকে অভিশংসন বিষয়ক তদন্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি একে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল হয়রানি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে ডেমোক্রেট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী জো বাইডেনকেই প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে দেখেন ট্রাম্প। তাই তার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে ইউক্রেনের নতুন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দেন তিনি। এতে তিনি ইউক্রেনকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছিলেন কিনা অভিশংসন বিষয়ের তদন্তে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে এখন। এতে আরো একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি হলেন ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদ‚ত মেরি ইভানোভিচ। তাকে আক্রমণ করে শুক্রবার একটি টুইট করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে তিনি বলেছেন, মেরি ইভানোভিচ যেখানেই যান সেখানাকার পরিস্থিতিই বাজে হয়ে যায়। ইভানোভিচের সাক্ষ্য দেয়ার মাঝখানে এমন টুইট করেন ট্রাম্প। তিনি এতে বলেন, তিনি সোমালিয়া থেকে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি কি? প্রতিক্রিয়ায় ইভানোভিচ প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যকে অত্যন্ত ভীতি প্রদর্শন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পরে অবশ্য ট্রাম্পও তার বক্তব্যের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তার টুইট মোটেও ভীতি প্রদর্শনের জন্য নয়। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, অভিশংসনের শুনানির অংশবিশেষ তিনি দেখেছেন এবং একে তিনি মর্যাদাহানি হিসেবে বিবেচনা করেন। সিবিএস, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ