Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলা স্বপ্নই রয়ে গেল কুড়িগ্রামে কৃষকের একাউন্ট খুলতে ভোগান্তি

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা ঃ ‘ফকরানীর একাউন্ট খোলার সময় ব্যাংকের নেই। তোমরা সারাদিন বসি থাকলেও কাজ হবে না।’ এরকম অভিব্যক্তি কুড়িগ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তাদের। সরকার কৃষকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালালেও, কাক্সিক্ষত সেবা পেতে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। চলতি বোরো মৌসুমে সরকার খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়। যাতে কৃষককে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা যায়। সে অনুযায়ী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে এসে সাধারণ কৃষক পড়েছে চরম হয়রানির মধ্যে। শুনতে হচ্ছে নানান কটূক্তি। দিনের পর দিন ব্যাংকে ধরণা দিয়েও একাউন্ট খুলতে না পেরে হতাশ এসব কৃষক। এ ব্যাপারে নির্বিকার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সরকার ১০ টাকায় এ ধরনের একাউন্ট খুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের কৃষক সুভাষ চন্দ্র জানান, গত ৪ দিন আগে ব্যাংক থেকে কৃষি একাউন্ট ফরম নিয়েছি। তিনদিন ধরে ঘুরাচ্ছে ফরম জমা নিচ্ছে না। একই কথা জানালেন ওই ইউনিয়নের আহমদ আলী ও দিনেশ। তারা আরো জানান, সরকার ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলার কথা বললেও ব্যাংক ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ির কাজ ফেলে ব্যাংকে যাতায়াত করতে অনেক ব্যয় হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। অপরদিকে সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক ঈদের পর থেকে একাউন্ট খোলার কাজ করবে বলে জানায়।
কুড়িগ্রাম জনতা ব্যাংক শাখায় গিয়ে দেখা যায়, মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানালেন, গত ১০ জুন থেকে শুরু হয় কৃষকদের একাউন্ট খোলার কাজ। গতকাল সোমবার হয়েছে ৪০টি। মঙ্গলবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্যাংকের লেজার অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১৪৪৬৮ থেকে ১৪৭৪৭ নম্বর পর্যন্ত মোট ২৭৯ জনের একাউন্ট খোলা হয়েছে। ব্যাংকের এই ধীরগতির কারণে গ্রাহকরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান জানান, ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে কৃষক তাদের ধানের ন্যায্য দাম পাবে। কিন্তু সে একাউন্ট খুলতে এসে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ব্যাংকে আসা-যাওয়া করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বিষয়টি সমাধানে উপজেলা প্রশাসনকে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে জনতা বাংক কুড়িগ্রাম শাখার এজিএম নবীবুর রহমান জানান, কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তারা ২শ’, ৩শ’ বা ৫শ’ টাকা দিয়ে একাউন্ট খুলছে। মাঝখানে ফরম শেষ হয়েছিল, এখন সে সমস্যা নেই। কৃষকরা ব্যাংকে টাকা জমা রাখছে ভবিষ্যতে স্বাভাবিক লেনদেন করতে পারবে। আমাদের এখানে চাপটা বেশি। ইউনিয়ন ভাগ করে দিলে চাপটা কমে যেত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলা স্বপ্নই রয়ে গেল কুড়িগ্রামে কৃষকের একাউন্ট খুলতে ভোগান্তি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ