Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লড়াকু মনোভাবে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভারতের মাটিতে ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্টে লজ্জাজনক হারকে সঙ্গী করে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কোলকাতায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে চান অধিনায়ক মুমিনুল হক। এবারের ম্যাচটি গোলাপি বলে হওয়ার কারণে চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে অনেকখানি। পেসারদের স্বর্গে ভালো করতে শট নির্বাচন, ধৈর্য ও প্রতিটি বলে শতভাগ মনোযোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়কের বিশ্বাস, ভাগ্য বদল করতে এই ব্যাপারগুলো ঠিকঠাক থাকলেই হবে। এরআগে গোলাপি বলে আরও বেশি আঁটসাঁট টেকনিকের দরকার বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বাংলাদেশ অধিনায়ক যোগ করলেন আরও কিছু বিষয়।

প্রথম টেস্টে চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা দেখাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার মানসিকতা দেখা যায়নি প্রায় কারোর মাঝে। দল হেরেছিল ইনিংস ও ১৩০ রানে। গোলাপি বল আর ইডেন গার্ডেনের উইকেট বাংলাদেশের আরেকটি বিব্রতকর হারের আভাস দিচ্ছে। তবে খেলা শুরুর আগেই নিজেদের পিছিয়ে রাখতে রাজি নন মুমিনুল, ‘আমার মনে হয়, প্রতিটি বলে শতভাগ মনোযোগী থাকতে হবে। কিছু কিছু শট সিলেকশন নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনা আছে। এই ব্যাপারে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। আমাদের মানসিকভাবে আরও বেশি প্রস্তুত থাকতে হবে। ওদের তিন জন খুব ভালো পেসার আছে, তাদের সামলাতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’

উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা ও মোহাম্মদ শামিকে ফ্লাড লাইটের আলোয় সামলানো হতে পারে আরও বেশি কঠিন। এই চ্যালেঞ্জকে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ হিসেবে দেখতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘ফ্লাড লাইটে খেলার চ্যালেঞ্জ আছে। আবার ওদের বোলারদের খেলারও চ্যালেঞ্জ আছে। আমার মনে হয়, এই সব চ্যালেঞ্জ ইতিবাচকভাবে নেওয়াই ভালো। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভারতীয় বোলারদের খেলা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। তিন জন বিশ্ব মানের পেসারের বিপক্ষে খেলছেন, এটা শুধু আমাদের জন্য না সব দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং।’

এছাড়া প্রথম টেস্টে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলামের ব্যর্থতায় দুয়ার খুলে গিয়েছিল সাইফ হাসানের জন্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান বন্যা বইয়ে দিয়ে টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন সাইফ। বড় দৈর্ঘ্যরে ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তরুণদের একজন ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ ‘এ’, ইমার্জিং দল সব জায়গাতেই পেয়েছেন রান। কোলকাতা টেস্টে হতে পারতো অভিষেক। চোটের জন্য ছিটকে যাওয়া এই তরুণ ওপেনারের জন্য আক্ষেপ ঝরল মুমিনুল হকের কণ্ঠে। প্রথম টেস্টে বদলি নেমে দ্বিতীয় সকালে চেতেশ্বর পুজারার ক্যাচ নিতে গিয়ে ডান হাতের কণিষ্ঠায় চোট পান সাইফ। সেরে ওঠেননি এখনও, উল্টো সেলাইয়ের নিচের জায়গা ফাঁক হয়ে গেছে। মুমিনুল জানালেন, ছিটকে না গেলে হয়তো সুযোগ পেতে পারতেন তিনি, ‘আমার মনে হয়, এটা ওর জন্য ভালো সুযোগ ছিল। চোটের ওপর তো কারও হাত নেই। ওর জায়গায় যে খেলবে তার জন্য এটা হয়তো নতুন সুযোগ।’

ইন্দোর টেস্টে মোটেও ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। দুই ইনিংসেই ৬ রান করে করেন ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। ক্রিজে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন দুই জন। ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবের বোলিংয়ে তাদের টেকনিকের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে গেছে। আঁটসাঁট টেকনিকের জন্য পরিচিত সাইফের আগমণী বার্তা জানানোর মঞ্চ হতে পারতো কোলকাতা টেস্ট। দুই ওপেনারকে ইডেনে সাবধানী ব্যাটিংয়ের পরামর্শ দিলেন মুমিনুল, ‘আমাদের মনোযোগ একটু বেশি রাখতে হবে। যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো না করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য ধরতে হবে।’

বাংলাদেশ দলপতি প্রথম টেস্টের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তা কাজে লাগানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। গোলাপি বলের টেস্টকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতির কমতি রাখেননি মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। অনুশীলনে ঘাম ঝড়াতে দেখা গেছে পুরো দলকে। অবশ্য দিবা-রাত্রির টেস্টে আজই অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশের। তাই অভিষেক স্মরণীয় করে রাখতে মুমিনুলের মন্ত্রই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ