Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

১৩টি আরপিজি শেল ও বিস্ফোরক উদ্ধার

হবিগঞ্জের সাতছড়িতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান

হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে হবিগঞ্জের সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্টের গহিন এলাকার একটি বাঙ্কার থেকে ১৩ রাউন্ড আরপিজি শেল ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলো ধ্বংস করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে র‌্যাব সদর দফতরের সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এ সব তথ্য জানান। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট্র থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র‌্যাব সদর দফতরের সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং র‌্যাবের একটি দল হবিগঞ্জের সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। উদ্ধার করা শেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য পরে বিশেষজ্ঞ দল এসে ধ্বংস করে।

র‌্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল মশিউর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে অভিযান শেষ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। সাতছড়ি ফরেস্টের কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার ভেতরে একটি সুরক্ষিত বাঙ্কারে এ সব গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক পাওয়া যায়। গত ২১ নভেম্বর দিবাগত রাত ২ টায় অভিযান শুরু হয়। অভিযান শেষ হয় শনিবার দুপুরে। অভিযানে ১৩টি গোলা (শেল), কামানের ভেতরে ব্যবহৃত ২৪টি শেল এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়। পরে সেগুলো ধ্বংস করা হয়।

চুনারুঘাট থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, র‌্যাব অভিযানের আগে থানায় জানায়নি। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে তারা থানায় একটি জিডি করেছে। র‌্যাবের এসআই সোহেল এ জিডি করেন। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক দ্রব্যাদি ধ্বংস করতে তারা আদালতে আবেদন করেছে। তিনি বলেন, তবে অভিযানের খবর পেয়ে সেখানে আমিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছুটে যাই। তাদের সাথে কথাও বলেছি। আমরা বনের বাইরে ছিলাম। তারা জানিয়েছেন সাতছড়ির বনের প্রায় ৫ কিলোমিটার ভেতরে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের টিমে ৩০ জন সদস্য ছিলেন।

সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ উর রহমান বলেন, কারা কীভাবে এসব গোলা, কামানের শেল ও বিস্ফোরকদ্রব্য গহিন জঙ্গলে রেখেছিল। কী কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, ৫টি মেশিন গানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেন র‌্যাবের সদস্যরা। এরপর, ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিন গান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ