Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অনুমতি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন হয় না -গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৪৫ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের অনুমতি, পুলিশের অনুমতি নিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন হয় না, এখন মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে আর কোন অনুমতি নয়, আমাদের অধিকার আন্দোলনের, অধিকার সভা-সমাবেশের-মিছিলের। আমরা কার কাছে অনুমতি চাইবো। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এই সরকার, এই আদালত দেবে না। যদি এই সরকার থাকে তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। সিদ্ধান্ত নিতে হবে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করবো নাকি সরকারের পতনের আন্দোলন করবো। সরকারের পতন না হলে খালেদা জিয়া মুক্ত পাবে না। আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন। দেশের আনাচে-কানাচে এক আওয়াজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকার হলো মহাদুর্নীতিবাজ। জনগণের একই দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি? এই স্লোগান তুলতে হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ঢাকা মহানগরীতে যদি এতো বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হতে পারেন, আপনারা যদি প্রতিজ্ঞা করে মাঠে নামেন তাহলে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার কোন কারণ নাই। আর গুম-খুনের তালিকা বৃদ্ধি নয়, এখন রাজপথে নামতে হবে এবং কোন বাধা আসলে সেই বাধা মোকাবেলা করতে হবে।

তিনি বলেন, এই সরকার - শেখ হাসিনা নিশি রাতের পাখি। ২৯ তারিখ নিশি রাতে তিনি দেশের মানুষের ভোট চুরি করে রাষ্ট্রের ক্ষমতায়। এই রাষ্ট্রের জনগণের প্রতি তার কোন দরদ নাই। তার ক্ষমতায় থাকতে হলে যাদের প্রতি তার দরদ সেটা হলো প্রতিবেশি দেশ। তাদের ইচ্ছাপূরণ করাই হলো তার একমাত্র দায়িত্ব। তাদের স্বার্থ পূরণ তার একমাত্র দায়িত্ব। বাংলাদেশে আবরার যখন মারা যায় পানি পানি চিৎকার করে তার ছেলেরা একফোটা পানি আবরারকে দেয়নি, বিশ্বজিৎ যখন পানি পানি করে রাস্তায় চিৎকার করে তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে একফোটা পানি দেয়নি। আর ভারতে খাবার পানির জন্য শেখ হাসিনাকে বললেন শেখ হাসিনা দিলেন। কিন্তু তিস্তা সহ ৫৪টি নদীর অভিন্ন নদীর হিস্যা আমরা পাচ্ছি না কেন? চট্টগ্রাম, মংলা বন্দর দিলেন, আবার পর্যবেক্ষণ করার জন্য দিলেন। এই দেশে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার কে করবে? কার নিয়ন্ত্রণে চলবে? ৪৭ বছরে আমাদের পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের প্রয়োজন হয়নাই। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে যে রাডার বসানো হচ্ছে কার নিরাপত্তার জন্য? কারো নিরাপত্তার জন্য যদি আমার ভৌগলিক সীমা যদি আমি ব্যবহার করতে দেই তাহলে যাদের বিরুদ্ধে এটা ব্যবহার হবে তাদের শত্রু হিসেবে বাংলাদেশ চিহ্নিত হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রেখে আমাদের চুক্তি করার কথা।

ভারত থেকে পুশ ইন এর বিষয়ে সরকারের নিরবতার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী একটি বিষয়ে কোন কথাই বলছেন না। যেটা ভারতের বর্তমান সরকারের একটি বড় ইস্যু। এনআরসি। ভারত থেকে অনাগরিক বিতাড়িত করা। আমরা দেশের বিভিন্ন সীমান্তে কয়েকদিন যাবৎ দেখছি, ঝাকে ঝাকে ভারত থেকে লোক আসছে। জনগণ সেগুলো রুখছে। সে ব্যাপারে সরকারের কোন কথা নাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারে একমাত্র খালেদা জিয়া ও তার দল। তাকে মুক্ত করতে হলে প্যারোল বা জামিনের চিন্তা বাদ দিয়ে রাজপথে ফয়সালা করতে হবে। জনগণ ও দেশের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি।

মহানগর দক্ষিন বিএনপিসাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম ও মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল্লাহ হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু।

বিএনপির অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বজলুল বাসিত আনজু, নবী উল্লাহ নবী, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, সুলতানা আহমেদ, হাসান জাফির তুহিন, হেলেন জেরিন খান, আবদুর রহিম, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, রফিকুল আলম মজনু, শফিকুল আলম মিল্টন, এস এম জিলানী, ফখরুল ইসলাম রবিন বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বিএনপির সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, শাম্মী আখতার, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুল হক নান্নু, শামীমুর রহমান শামীম,আবদুল আউয়াল খান, আনিসুর রহমান তালুকদার, মামুন বিন আব্দুল মান্নানসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • oti_shadharon ২৪ নভেম্বর, ২০১৯, ৯:০৪ পিএম says : 0
    "অনুমতি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন হয় না" - কথাটা ঠিক; তবে মুখে ফাঁকা বুলি আওড়ানো মেরুদন্ড ভাঙা লোক দিয়েও আন্দোলন হয় না। রাস্তায় নেমে মার্ খেয়ে বিশ্ববাসীকে দেখান নেতারা কত বাহাদুর।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গয়েশ্বর চন্দ্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ