Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাজওয়ার মেয়াদ বাড়াতে পাকিস্তানের সেনাবিধি সংশোধন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:৪৪ পিএম

সেনা প্রধানের মেয়াদ বাড়াতে সেনা বিধি সংশোধন করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেনা বিধি সংশোধন করে সেখানে সেনা প্রধানের ‘মেয়াদ বাড়ানোর’ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বেলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী শফকত মেহমূদ।

মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মেহমুদ বলেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছে যে সেনা বিধিমালায় সেনাপ্রধানের ‘মেয়াদ বাড়ানোর’ বিধান নেই। তিনি বলেন, ‘আদালতকে সহায়তা ও মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে সচ্ছতা আনতে মন্ত্রিসভা আজ সেনাবাহিনী বিধিমালার ২৫৫তম বিধি সংশোধন করেছে।’ তিনি জানান, ‘অবসর গ্রহণ স্থগিত করা’ এবং ‘অবসরের সীমাবদ্ধতা’ ছাড়াও, বিধি ২৫৫-তে এখন সেনাপ্রধানের ‘মেয়াদ বাড়ানো’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আগের নোটিফিকেশনে সরকার কোনো নিয়ম ভঙ্গ করে নি। তবে আদালতকে সহযোগিতার জন্য রেগুলেশন সংশোধন করেছে সরকার। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির কারণে সেনাপ্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া’র মেয়াদ আরো তিন বছরের জন্য বৃদ্ধি করা নিয়ে দৃশ্যত পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয় ইমরান খানের সরকার ও সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৯ আগস্ট সেনাপ্রধানের মেয়াদ নতুন করে বৃদ্ধি করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি নোটিফিকেশন জারি করেন। মঙ্গলবার এক পিটিশনের ওপর শুনানিতে ইমরানের ওই নোটিফিকেশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি আসিফ সাঈদ খোসার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ইমরান খানের ওই নোটিফিকেশন আজ বুধবার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেন। সুপ্রিম কোর্টের এমন সিদ্ধান্তের পর পরই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদের বৈঠক বসে। তাতে নতুন করে সেনাপ্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে অনুমোদন দেয় মন্ত্রীপরিষদ।

এর আগে সেনাপ্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধি করে এর আগে ইমরান খান যে নোটিফিকেশন জারি করেছিলেন তাকে চ্যালেঞ্জ করে একজন পিটিশন দিয়েছিলেন আদালতে। মঙ্গলবার তা আমলে নেয় আদালত। তবে এদিন ওই বেঞ্চের সামনে পিটিশনার উপস্থিত না হয়ে পিটিশন প্রত্যাহার করার জন্য হাতে লেখা একটি আবেদন পাঠান আদালতে। কিন্তু পিটিশনারের এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে উল্টো সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮৪(৩) ধারার অধীনে এই আবেদনকে সুয়োমোটো নোটিশে পরিণত করেন আদালত। বিচারকদের কাছে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন এটর্নি জেনারেল। ফলে আদালত ইমরানের ওই নোটিফিকেশন স্থগিত করেন। ততক্ষণে আগে থেকেই শিডিউল করা একটি মিটিংয়ে বসে মন্ত্রীপরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানেই সেনাবিধি সংশোধন করা হয়। সূত্র: ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ